কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি (ইলিয়াস-মাজেদ) বিলুপ্তির পর শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহির পক্ষে ক্যাম্পাসে মহড়া ও বাজি ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগের একপক্ষ ও স্থানীয়রা। এরপর সদ্যবিদায়ী কমিটির নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রক্টর-পুলিশের সামনেই পাল্টা মহড়া দেন। গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রেজা-ই-এলাহির পক্ষে কুবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগত মিলে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেন। এ সময় তাঁরা বাজি ফুটিয়ে বেশ আতঙ্কও সৃষ্টি করেন। তবে তাঁদের হাতে কোনো অস্ত্র দেখা যায়নি। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে তাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়ান। এ সময় বেশ কয়েকজন হাতে বাঁশ ও লাঠি নেন। এ ছাড়া হলের সামনে বাজি ফোটান।
মোটরসাইকেলে মহড়ার পর সদ্যবিদায়ী কমিটির নেতা-কর্মীরা হল থেকে রামদা, লাঠি, রডসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্য সদস্যরা গেলে মোটরসাইকেল আরোহীরা দ্রুত চলে যান। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি মূল ফটকে পুলিশ মোতায়েন করে।
এ সময় বিদায়ী কমিটির নেতা-কর্মীদের কয়েকজনকে প্রক্টর ও পুলিশের সামনেই রামদা হাতে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি ও প্রক্টরের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীদের দাবি, ক্যাম্পাসে হল দখল করতে এবং শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এমন কাজ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী রেজা-ই-এলাহি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁদের নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছেন। কারও হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনা নিয়ে তাঁরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য হলের প্রভোস্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। উপাচার্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।