রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে এখন সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকছে। ফুটপাত দখল করে খাবারের দোকানপাট গড়ে ওঠায় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানে আগে থেকেই যানজট দেখা দিত। এখন একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য সড়কের একপাশ বন্ধ থাকায় যানজট চরম মাত্রায় পৌঁছেছে।
শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন করতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে কালভার্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাশাপাশি এলাকায়। কলেজের সামনে প্রায় দুই মাস ধরে রাস্তার একপাশ বন্ধ। ফলে সেখান থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে রামেক হাসপাতালের সামনে হয়ে নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় পর্যন্ত থাকছে।
কলেজ ও হাসপাতালের সামনের এ যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা। রোগী নিয়ে এসে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্য যানবাহনগুলো দ্রুত জরুরি বিভাগে ঢুকতে পারছে না। যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতর থেকে একটি নতুন ড্রেন নির্মাণ করে সড়কে আনা হয়েছে। এই ড্রেনটি হাসপাতাল এলাকা হয়ে উত্তর দিকে চলে যাবে। এ জন্য টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। চার লেনের রাস্তার একপাশে ইতিমধ্যে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যপাশে ইতিমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
এখন সড়কটির উত্তর দিকের লেনে নির্মাণকাজ চলছে। ফলে সেদিক দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এ স্থানটিতে এসে দুই পাশের গাড়ি একপাশে চলাচল করছে। ফলে সেখানে সব সময় যানজট লেগেই থাকছে। জরুরি বিভাগের সামনে নাটোর থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. আরিফ জানালেন, রোগী নিয়ে এসে হাসপাতালসংলগ্ন সিপাইপাড়া থেকে জরুরি বিভাগের সামনে মাত্র ৫০০ মিটার আসতেই তাঁর সময় লাগল অন্তত ১০ মিনিট। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর রোগী ছটফট করছিলেন, রোগীর স্বজনেরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু তাঁর কিছু করার ছিল না।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে রাস্তায় দোকানপাট থাকার কারণে এমনিতেই যানজট লাগে। উঠিয়ে দেওয়ার কয়েক দিন পরই আবার এসে বসে। এখন আবার কলেজের সামনে কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট লেগেই থাকছে। দ্রুতই যেন নির্মাণকাজটি শেষ করা হয় সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, খোঁড়াখুঁড়ি ও আনুষঙ্গিক কাজের পর কালভার্টের ঢালাই শক্ত হতে অন্তত ২৮ দিন সময় লাগে। একপাশে কালভার্টের কাজ শেষ হয়ে গেছে। অন্যপাশেও ঢালাই হয়ে গেছে। ঢালাইয়ের ২৮ দিন পূর্ণ হলেই রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে। তখন যানজট কমে আসবে।