কাজ কমলেও ব্যয় বাড়ছে সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া মাতারবাড়ী কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সড়ক প্রকল্পে। মেয়াদ ও কাজের শেষ দিকে এসে প্রকল্পটিতে দ্বিতীয় দফায় ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নতুন সংশোধনী প্রস্তাব কাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলা হচ্ছে। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশোধনী প্রস্তাবে দেখা যায়, ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া ৬০২ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে এক দফায় ৫৮ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। ২০২০ সালে প্রকল্প শেষ করার কথা থাকলেও তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মূল ব্যয় থেকে এ পর্যন্ত খরচ ৯৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় বা প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ শেষ দিকে এসে নতুন করে ৫৫ শতাংশ বা ৩৬৪ কোটি টাকা ব্য়য় এবং দুই বছর সময় বাড়ানোর আলোচনা হচ্ছে। এতে ৫ বছরের প্রকল্প গড়াবে ৮ বছরে। মেয়াদ ও ব্যয় বাড়াতে যোগ করা হয়েছে নতুন কাজ।
প্রস্তাবে দেখা যায়, মাতারবাড়ী কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ (সওজ অংশ) প্রকল্পটিতে সড়ক নির্মাণকাজ আগের চেয়ে ৩ কিলোমিটার কমলেও ব্যয় বেড়েছে ১০৪ কোটি টাকা। সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়ক পুনর্বাসনের কাজ কমলেও ব্যয় বেড়েছে ৫ কোটি টাকা। সাড়ে ১৯ কিলোমিটার জেনারেল সাইট ফ্যাসিলিটিজ এবং মেরামতকাজ কমলেও ব্যয় কমেছে মাত্র ১৬ কোটি। এখন এক কিলোমিটারের জন্যই ব্য়য় করা হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। বাড়তি ব্যয় প্রস্তাবই আগামী একনেকে অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে।
বিভিন্ন কাজের ব্যয় বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাইন, সিগন্যাল, গার্ড রেইল, পোস্ট ইত্যাদি নির্মাণে ১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা; ব্রিজ নির্মাণে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাঁধ নির্মাণে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ইউটিলিটি স্থানান্তরে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং জেটি নির্মাণে ৯৪ লাখ টাকা, ডিজাইন ও সুপারভিশনে পরামর্শক খাতে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এতে নতুন নতুন কাজও যুক্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রিজিভ পেমেন্ট খাতে ২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ২ কিলোমিটার কালভার্ট নির্মাণে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা, ২২ মিটার রেগুলেটর/ওয়াটার ইনলেট নির্মাণে ৩৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ৫৪ মিটার আরসিসি ব্রিজ নির্মাণে ৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।