Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

হাসপাতালে জায়গা নেই ফিরে গেছে অনেক রোগী

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

হাসপাতালে জায়গা নেই ফিরে গেছে অনেক রোগী

চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত বুধবার রাতে অনেকেই হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ফিরে গেছেন। গতকাল সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে শীত বাড়ার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

জানা গেছে, গতকাল সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় ১৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত সোমবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েক দিন ধরেই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

রোগীদের সুবিধার্থে পুরোনো ভবনের নিচতলায় র‍্যাম সিঁড়ির পাশে দুটি কক্ষে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে ধারণক্ষমতা ২০ জন। একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স, দুজন শিক্ষানবিশ নার্স ও একজন স্বেচ্ছাসেবী তাঁদের সেবা দিয়ে থাকেন।

গত বুধবার রাতে ও গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ওয়ার্ডের ভেতর জায়গা না পেয়ে বারান্দা, র‍্যাম সিঁড়িতে এমনকি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কক্ষের সামনে পর্যন্ত রোগীর ভিড় দেখা গেছে। জায়গা না থাকায় অনেককে রাতে বাড়ি চলে যেতে দেখা গেছে। তবে যারা ভর্তি আছে, তাদের বেশির ভাগই ছয় মাস থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ২১৫ জন। এর মধ্যে গতকাল বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি ছিল ৮৩ জন রোগী। এ ছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও আন্তবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে তিন শতাধিক রোগী।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালট্যান্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, শীতজনিত রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।

ডায়রিয়ার প্রতিকারে বাসি ও ঠান্ডা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। টয়লেট করার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। শিশুদের মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। বর্তমানে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সকালে ঠান্ডা অনুভূত হয়। ওই সময় শিশুদের ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম ফাত্হে আকরাম বলেন, ‘একদিকে জনবল-সংকট, অপর দিকে ডায়রিয়া রোগীর চাপ; রোগীদের সেবা দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও সেবার দিক থেকে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা আছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি।’

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সামাদুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সকাল নয়টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধীরে ধীরে শীত আরও বাড়তে পারে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ