তারাবিহর নামাজ আদায় করা মাহে রমজানের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আমল। এশার নামাজের পর তারাবিহর নামাজ আদায় করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নত। তারাবিহ শব্দের অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবিহর নামাজ আদায়কালে প্রতি চার রাকাত পরপর কিছু সময় বসে আরাম করার বিধান রয়েছে। তাই এ নামাজকে তারাবিহর নামাজ বা সালাতুত তারাবিহ বলা হয়।
রমজান মাসে তারাবিহর নামাজের মধ্যে একবার কোরআন খতম করা বড় সওয়াবের কাজ। এ মাসের একটি নফল ইবাদত অন্য মাসের একটি ফরজ ইবাদতের সমান এবং একটি ফরজ ইবাদত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ ইবাদতের সমান। এটি মাহে রমজানের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এ বিষয়ে মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে একটি নফল আমল করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করল।’ (মিশকাত)
এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত দুই রাকাত করে ১০ সালামে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। তারাবিহর নামাজ আদায় করা সুন্নত। আর মুসলমানের ঐক্য বজায় রাখা ফরজ। তাই তারাবিহর নামাজের রাকাতসংখ্যা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
রমজান মাসে মহানবী (সা.) নিজে তারাবিহর নামাজ আদায় করেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারাবিহর নামাজ আদায়কারীর সব গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন। এ মর্মে মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবিহর নামাজ আদায় করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে।’ (বুখারি)
ড. মো. শাহজাহান কবীর, চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি