বরগুনার আমতলীতে একই স্থানে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আমতলী পৌর শহরের সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে এই আদেশ জারি করেন।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারি করায় পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষ তাদের ডাকা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
জানা গেছে, ২ আগস্ট মো. জালাল উদ্দিন ফকিরকে আহ্বায়ক ও কামরুজ্জামান হিরুকে সদস্যসচিব করে উপজেলা বিএনপি এবং মো. কবির ফকিরকে আহ্বায়ক ও তুহিন মৃধাকে সদস্যসচিব করে পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। কর্মিসভা ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন ছাড়া ত্যাগীদের বাদ দিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাখ্যান করেন একাংশের নেতারা। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে নবগঠিত কমিটির সদস্যসচিব মো. কামরুজ্জামান হিরুর নেতৃত্বে বিএনপির একটি অংশ শনিবার বিকেলে আমতলী চৌরাস্তায় আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে। ওই আনন্দ মিছিল প্রতিহত করতে একই স্থানে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোয়েব ইসলাম হেলাল চৌকিদারের নেতৃত্বে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে।
উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোয়েব ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান হিরু বলেন, ‘নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেছিলাম কিন্তু একই স্থানে ছাত্রদল কর্মসূচি দেওয়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। তাই মিছিল স্থগিত করা হয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির একটি অংশ ও ছাত্রদল একই স্থানে কর্মসূচির আয়োজন করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইউএনও ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পৌর শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
ইউএনও এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমতলী পৌর শহরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।