২০১৫ সালের এপ্রিলে সেই ওয়ানডে সিরিজের কথাটা ভোলার কথা নয় পাকিস্তান দলের। বিশ্বকাপ থেকে দারুণ ছন্দ নিয়ে ফেরা বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ বাবর আজমদের সামনে।
মিরপুরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করা পাকিস্তান জানিয়েও রেখেছে, তারা বাংলাদেশকে এবার ৩-০ ব্যবধানে হারাতে চায়। গতকাল ম্যাচশেষে পাকিস্তানের ব্যাটার ফখর জামান বলেছেন, ‘গতকালের (পরশু) চেয়ে আজকের (গতকাল) উইকেট ভালো ছিল। খুব একটা আদর্শ উইকেট অবশ্য নয়। তবে গতকালের চেয়ে অনেক ভালো। উইকেটের আচরণ যেমন ছিল, শুরুতে কাজটা সহজ ছিল না। শট খেলা কঠিন ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি জুটি গড়তে। সেটায় সফল হয়েছি ও জিততে পেরেছি। দেশের বাইরে খেললে জয় সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব চেষ্টা করব তৃতীয় ম্যাচও জিততে।’
গতকাল পাকিস্তান ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাদের বোলাররা। বাংলাদেশ ২০ ওভারে করতে পারে টেনেটুনে ১০৮ রান। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫১ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ফখর। নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড় নয়, পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁর সব সতীর্থকেই, ‘সিরিজ জেতাটা দলীয় প্রচেষ্টা। ছেলেরা যেভাবে ছন্দটা ধরে রেখেছে, আমি খুশি। বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে, বিশেষ করে ইনিংসের মাঝের ওভারে। শেষটাও ভালো হয়েছে। পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি আমরা। ফখর ও রিজওয়ান দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
সতীর্থরা দুর্দান্ত খেললেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা থেকে গেছে বাবরের। গত দুই ম্যাচে করেছেন ১ ও ৭ রান। পাকিস্তান অধিনায়ক অবশ্য এটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন, ‘কখনো কখনো পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা সম্ভব হয় না। ক্রিকেটে এমনটা হয়।’