চাঁদাবাজির মামলায় জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এবার ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সরদারের ছেলে কুতুব হোসেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় কুতুব হোসেনকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যানপত্র একা নন, ফেনসিডিলসহ তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের সবার ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।
গত রোববার আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আগের দিন শনিবার রাত ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দর থানার ছোট আঁচড়া মোড় থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় বন্দর থানায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে চেয়ারম্যানপুত্র হওয়ায় ঘটনাটি সে সময় প্রকাশ পায়নি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে বন্দর থানা এলাকার ভবেরবেড় গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে চেয়ারম্যানের ছেলে কুতুব হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর তিন আসামি হলেন বাঘারপাড়ার রোস্তমপুর গ্রামের বনি আমিন, পাকেরআলী গ্রামের সরাফত হোসেন ও সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আবু বক্কার শোভন পিয়াস। তাঁদের প্যান্টের পকেট থেকে ১৬ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ওই চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানে হয়েছে।’
বাঘারপাড়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগেও চেয়ারম্যানপুত্র কুতুব হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক ও চাঁদাবাজির মামলা হয়। বাঘারপাড়ায় এক ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও তাঁর কর্মীদের মারধরের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।