দেশের ১৭তম স্থলবন্দর হিসেবে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর চালু হয় ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দর। প্রথমে বন্দরটি দিয়ে শুধু রপ্তানি হলেও ২০২৩ সালের ২১ মে দ্বিতীয় দফা উদ্বোধনের পর ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র দুই দফা দুটি পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। কর্মকর্তারা জানান, স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিমুখী বাণিজ্য হওয়ার কথা থাকলেও শুধু সিমেন্ট রপ্তানি হচ্ছে। ভারতের অসহযোগিতায় আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, পাথর, কয়লা, সিমেন্ট, ইট, বালু, চিনি, ভুট্টা, গম, মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন তেলসহ ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি আছে। অথচ এ পর্যন্ত দুই দফা পণ্য আমদানি হয়েছে।
বিলোনিয়া স্থলবন্দরের উপপরিচালক মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘উদ্বোধনের পর থেকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।’ বিলোনিয়া শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি টাকার পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় ভারত থেকে এসেছেন ৩ হাজার ৬৯২ যাত্রী, বিপরীতে ভারতে গেছেন ৩ হাজার ৬৬২ জন। এতে কর আদায় হয়েছে ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। ওই ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
বিলোনিয়া স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইব্রাহিম জানান, এর আগে ভারত থেকে ৫০০ টন পেঁয়াজ আর ৩ টন শুকনা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, অনুমতির পরও পণ্য আমদানি না হওয়ার পেছনে ডলার-সংকটও একটি কারণ। তা ছাড়া ভারতের ব্যবসায়ীদের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের দূরত্ব বেশি হওয়ায় পণ্যের খরচ বেশির কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।
সাইফুর রহমান বলেন, ‘ভারত থেকে দেশে পণ্যের চাহিদা থাকলেও ভারতের কাস্টমস কর্মকর্তারা অনুমতি না দেওয়ায় আমদানি হচ্ছে না। বর্তমানে সিমেন্ট ছাড়া ভারতে অন্য কোনো পণ্য রপ্তানি হচ্ছে না।’