হোম > ছাপা সংস্করণ

চিকিৎসার আগে মন ভরে ফুলের সৌন্দর্যে

মো. সিরাজুল ইসলাম, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)

নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রচেষ্টায় তা ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে ধাপে ধাপে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাগতে থাকে উন্নয়নের ছোঁয়া, যা এখন শিশুবান্ধব হাসপাতাল নামে পরিচিতি অর্জন করেছে। রোগীরা বলছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমন পরিবেশ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তা। এর দুই পাশে আছে নানা ধরনের ফুলগাছ। একটু ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মিনি পার্কের আদলে গঠিত সুসজ্জিত ফুল বাগিচা।

একদিকে টবে সাজানো রয়েছে নানা রকম পাতাবাহারের গাছ, একই টবে বপন করা হয়েছে নানা রকম শাকপাতার গাছ। এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা রোগীদের মুখে মুখে।

অপর দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ ওয়ার্ডের আগেই রয়েছে শিশু কর্নার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে থাকা শিশুদের বিনোদনের জন্য নানা খেলনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই শিশু কর্নার।

চিকিৎসাসেবা পাওয়ার পর অনেকে ফুলগাছের সঙ্গে মেতে ওঠেন ছবি তুলতে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মিনি পার্কের ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকেরাও আসেন প্রশান্তির ছোঁয়া নিতে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম ও তাঁর সহকর্মীরা। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই গড়ে উঠেছে এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।

আউটডোরে চিকিৎসা নিতে এসে রহিমা খাতুন  বলেন, ‘এই হাসপাতালে প্রবেশ করলেই মনে প্রশান্তি আসে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থাও আছে। হাসপাতালের পরিবেশ ও ফুল-ফলের গাছ দেখে সত্যিই খুব মুগ্ধ হয়েছি। এ রকম পরিবেশ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে থাকা দরকার।’

চিকিৎসা নিতে আসা শিখা দাস বলেন, আগে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে দুর্গন্ধে থাকা যেত না। আর এখন পরিবেশের পাশাপাশি হাসপাতালের দৃশ্য যে এত সুন্দর হতে পারে, তা অকল্পনীয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম এ প্রতিবেদককে জানান, হাসপাতালে তিনি ২০২১ সালের শেষ দিকে জয়েন করেছেন। এর পর থেকে অব্যবহৃত জায়গাগুলো অবসর সময়ে নিজে ও লোক লাগিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন। সেখানে ফুলের গাছ লাগিয়ে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে বাইরের সব দৃশ্য সর্বস্তরের মানুষের নজর কাড়ে। পরিত্যক্ত জায়গা পরিষ্কার করে ফলের বাগান করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এসব বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সহকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন