যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুর শহরের ট্রাক টার্মিনাল অংশে জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই সড়ক প্রশস্তকরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার পৌরসভার মধ্যকুল গ্রামের ১১ জন জমির মালিক জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা সরকারি নিয়ম মেনে ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করে জমি নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের রাজারহাট থেকে কেশবপুর হয়ে চুকনগর পর্যন্ত সড়ক ১০ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে কেশবপুর বাজারে অবস্থিত সেতু থেকে তেল পাম্প পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। সড়কের প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ করতে অনুরোধ জানালেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বরতরা সেটা করছেন না। এমনকি জমি অধিগ্রহণ না করেই জোর করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে মাটি ভরাট করে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চালু রাখা হয়েছে। সরকার এই জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে নিতে চাইলে ভুক্তভোগীদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
লিখিত এ অভিযোগ দিয়েছেন, জমির মালিক ওয়াজেদ খান ডাবলু, কালিদাস সাহা, শ্যামল সাহা, মো. শহীদুল্লাহ, শংকরী সাহা, প্রশান্ত কুমার সাহা, বিপ্রদাশ সাহা, নজরুল খান, আমিরুল হোসেন তুহিন ও নীল কোমল সাহা।
ভুক্তভোগী জমির মালিকেরা বলেন, ‘প্রাপ্য মূল্য পরিশোধ ছাড়াই ব্যক্তিগত সম্পত্তির অংশ নিয়ে সড়ক প্রশস্ত করায় তিলে তিলে গড়া সম্পত্তি বেহাতের আশঙ্কায় রয়েছি। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।’
যশোরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’