হোম > ছাপা সংস্করণ

আলেশা মার্ট তালিকা দেয়, টাকা দেয় না

অর্চি হক, ঢাকা

গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ রয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সংগঠন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৬ হাজার গ্রাহকের কাছে আলেশা মার্টের দেনা ছিল ৩০০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ৪০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ২ হাজার ২০০ জনের মতো গ্রাহক বুঝে পেয়েছেন। বর্তমানে আলেশার দেনা ২৫৮ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে, এই টাকা ফেরতের নামে ‘রিফান্ড লিস্ট’ দিয়ে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ১৫ অক্টোবর আলেশা মার্টের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চারটি রিফান্ড লিস্ট (টাকা ফেরতের তালিকা) প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, ১৬ অক্টোবর ২৯ জন, ২৭ অক্টোবর ২০ জন, ৩ নভেম্বর ২২ জন এবং ১০ নভেম্বর ২৪ জন গ্রাহকের একটি করে বাইকের (মোটরসাইকেল) টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এসব তালিকায় থাকা অন্তত ১৫ গ্রাহক টাকা না পাওয়ার কথা জানান। তাঁদের দাবি, তালিকায় শতাধিক ব্যক্তির আইডি নম্বর থাকলেও তাঁদের বেশির ভাগই টাকা পাননি। কিছু গ্রাহক আপসরফার মাধ্যমে আংশিক টাকা নিয়েছেন। অনেকে দালাল ধরে টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টায় আছেন।

আলেশা মার্টে দুটি বাইক অর্ডার করা সাজ্জাদ আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৭ অক্টোবর একটা বাইকের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো টাকা ফেরত পাইনি। অথচ আলেশার পেজে এসব লিস্ট দেখিয়ে বলা হচ্ছে, লিস্টের সবাই টাকা পাচ্ছেন।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের সচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, ‘পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারটা আমরা মনিটর করছি। এর বাইরে কত টাকা দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানি না।’

আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহান চৌধুরী বলেন, সারা দেশে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদারের বিরুদ্ধে তিন শতাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তারপরও এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 
এ বিষয়ে বনানী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’

গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মনজুর আলম শিকদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। গুলশান ২-এ তাঁর বাড়িতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী জানান, তিনি বাড়িতে নেই। বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের নাজির টাওয়ারের নবম তলায় এবং প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারের তৃতীয় তলায় আলেশা মার্টের অফিস ছিল। সে সব জায়গায় গিয়ে জানা যায়, আলেশা মার্ট অফিসগুলো ছেড়ে দিয়েছে। এ ছাড়া তেজগাঁওয়ের নাসরিন টাওয়ারেও আলেশার অফিস ছিল। সেখানেও আলেশা-সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।

মামলার প্রস্তুতি
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬৭৭টি অভিযোগ রয়েছে। গত অক্টোবর থেকে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি শুরু করে অধিদপ্তর। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিদপ্তরে অভিযোগ করা ৩৩ গ্রাহক পুরো টাকা বুঝে পান। ৭৯ গ্রাহক পান আংশিক পাওনা। সূত্র বলেছে, আলেশার চেয়ারম্যান ডিসেম্বরের পর থেকে ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তাই আলেশা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর মামলা করা হবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

গ্রাহকদের মানববন্ধন 
টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গতকাল শুক্রবার মনজুর আলম শিকদারের বাসার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। এ সময় আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হাসান বলেন, ‘মনজুর শিকদারের সব সম্পত্তি জব্দ করে আমাদের পাওনা মেটাতে হবে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন