রামগঞ্জ পৌর শহরের রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের পুলিশ বক্স-সংলগ্ন এলাকায় রামগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের ফেলা ময়লা-আবর্জনার কারণে সড়কের পশ্চিম পাশ এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং দীর্ঘদিন শহরের সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা শহরের ব্যস্ততম সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। এ সড়কে চলাচলরত স্থানীয় জনসাধারণ প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী ময়লার এ ভাগাড়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে।
স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীসহ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজনকে দুর্গন্ধ ও ময়লা পানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ী এমরান হোসেন বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে আমরা জঘন্য একটা পরিবেশে আছি। ময়লা আর নোংরা পরিবেশের কারণে একদিকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ, অন্যদিকে ডেঙ্গু ও পানিবাহিত রোগের বিস্তারও বাড়ছে।’
সিএনজিচালিত অটোরিকশার পার্টস বিক্রেতা মো. বাবু বলেন, ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে শহরের সংযোগ সড়কগুলো পানিতে ডুবে যায়। আমরা দ্রুততম সময়ে এ নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ থেকে নিস্তার চাই। এ ছাড়া মজা পানির কারণে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ ও মশার উপদ্রব।’
রামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন ও রামগঞ্জ মডেল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রাফিয়া নাসরিন জানান, দুর্গন্ধে এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা দায়। বাধ্য হয়ে অন্য সড়ক দিয়ে ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পৌরসভা মেয়রকে প্রথম থেকে বলা হয়েছে, শহরের ওপর এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তিনি আমার কথায় কর্ণপাত না করে পুলিশ বক্সসংলগ্ন ডোবাগুলো শহরের প্রতিদিনকার বর্জ্য দিয়ে ভরাট অব্যাহত রেখেছেন। এলাকার মানুষ চরম কষ্টে রয়েছে।’
এ বিষয়ে রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘পৌর শহরে যত্রতত্র ট্রাকগুলো পার্ক করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণে স্টেশনেও এলোমেলো গাড়ি রাখা হয়। ফলে আমি শহরের পাটবাজার-সংলগ্ন এলাকার ডোবাগুলো ভরাট করছি। তবে তিনি দুর্গন্ধ রোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেননি।’