Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কেন্দুয়া শাখার ব্যবস্থাপক প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

কেন্দুয়া শাখার ব্যবস্থাপক প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি

সোনালী ব্যাংকের নেত্রকোনার কেন্দুয়া শাখার ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে এক নারীর চেক জালিয়াতি করে সাত লাখ টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া চেক জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা তদন্তে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চেক জালিয়াতির ঘটনার খবর পেয়ে সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনা অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার ব্যাংকের কেন্দুয়া শাখা পরিদর্শনে আসেন। এরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কেন্দুয়া শাখার ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মদকে প্রত্যাহার করে ব্যাংকের নেত্রকোনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তাঁর স্থলে নতুন আরেকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংক নেত্রকোনা অঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রাসমোহন সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্যের মধ্যে একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এবং আরেকজন হলেন প্রিন্সিপাল অফিসার। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।

ব্যাংক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কেন্দুয়া পৌর এলাকার এক নারী দীর্ঘদিন ধরে সোনালী ব্যাংকের কেন্দুয়া শাখায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাভোগী গ্রাহককে বিভিন্ন সময় চেক লিখে দেওয়াসহ টাকা তুলতে সহায়তা করে আসছিলেন। এর বিনিময়ে তিনি কিছু পারিশ্রমিকও নিতেন। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের এক নারী ব্যাংকে যান। একপর্যায়ে ওই নারী প্রতারক তাঁকে হিসাব খুলতেও সাহায্য করেন। তবে হিসাব খোলার পর ব্যাংকের দেওয়া নারী গ্রাহকের চেক বই থেকে কৌশলে একটি পাতা ছিঁড়ে নেন ওই প্রতারক। তিনি ওই চেকে সই নকল করে তাঁর হিসাব নম্বর থেকে গত রোববার দুপুরে সাত লাখ টাকাও তুলে নেন।

পরে টাকা তোলার বিষয়ে আমানতকারীর মোবাইল ফোনে বার্তা গেলে তিনি দ্রুত ব্যাংকে হাজির হয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন সোমবার ওই নারী প্রতারকের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে সেদিন চাঞ্চল্যকর এ জালিয়াতির ঘটনায় ওই নারী বা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে প্রত্যাহার করে একই সঙ্গে চেক জালিয়াতির এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সোনালী ব্যাংক নেত্রকোনা অঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রাসমোহন সাহা বলেন, এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ