পাইকগাছায় ২১ নম্বর পোল্ডারে পরিকল্পিত উপায়ে লোনাপানিতে চিংড়ির পাশাপাশি ধান চাষ অব্যাহত রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছেন জমির মালিকেরা। গতকাল বিকেলে সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিকেতন স্কুল মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তারা এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
জমির মালিক শেখ সুলতান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেলুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্মল কান্তি মণ্ডল। বক্তব্য রাখেন জমির মালিক জিতেন্দ্র নাথ ঢালি কালীদাশ রায়, বিভূতি ভূষণ রায়, ভোল্টন মণ্ডল, মো. আবুল হোসেন গাজী, ব্রজেন মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আজিজ গাজী, নিরঞ্জন রায়, মনিরুল সরদার, সুভাষ মণ্ডল, প্রকাশ মণ্ডল, আব্দুর রহমান মল্লিক, শফিকুল সরদার, মুজিবুর রহমান গাজী, আবুল কাশেম গাজী, স্বপন বিশ্বাস, পলাশ মোড়ল, মোকসেদ জোয়ারদার, গোলাম মোস্তফা গাজী, মান্নাব গাজী, দীপক মণ্ডল, কালীপদ মণ্ডলসহ হাজারো জমির মালিক।
এ সময় জমির মালিকেরা বলেন, আমাদের ২১ নম্বর পোল্ডারে ১১ হাজার বিঘা জমি রয়েছে। আমরা আশির দশকের পর থেকে ৬ মাস লোনা পানিতে চিংড়ি চাষের পাশাপাশি পরের ৬ মাস মিঠাপানিতে ধান চাষ করে আসছি। আমরা এ এলাকা থেকে প্রায় শত কোটি টাকার চিংড়ি, ১২ কোটি টাকার কাঁকড়া, ১৫ কোটি টাকার হরিনা চিংড়ি, ২৫ কোটি টাকার সাদা মাছ এবং ৩৫ কোটি টাকার ধান উৎপাদন করে থাকি। কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করে আসছে। আমরা ৯৫ শতাংশ জমির মালিকেরা চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ধান চাষের জন্য রায় দিয়েছি।