ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন আজ সোমবার। ২২ বছর পর সভাপতি পদে নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী ও নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।
জিতেন্দ্র প্রসাদকে হারিয়ে ২০০০ সালে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর বিনা ভোটে কংগ্রেসের সভাপতি হন তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী। কিন্তু ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট লোকসভা ভোটে পরাজয়ের কারণে রাহুল ইস্তফা দেন। এ কারণে সোনিয়াকেই আবার দায়িত্ব নিতে হয়। তারপর আজকের এই নির্বাচন।
দলীয় নেতারা অনুরোধ করলেও রাহুলরা কেউই ভোটে দাঁড়াননি। এমনকি নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বলছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা।
দুই প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর জয়ের বিষয়ে আশাবাদী হলেও একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করেননি।
রাজধানী দিল্লিতে দলের সদর দপ্তর ছাড়াও গোটা দেশের ৩৬টি পোলিং স্টেশনের ৬৭টি বুথে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মধুসূদন মিস্ত্রি জানিয়েছেন এ সময়ের মধ্যে ভোটারকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
রাহুল গান্ধীসহ কয়েকজন নেতা দক্ষিণ ভারতে ভারত জোড়ো পদযাত্রায় ব্যস্ত থাকায় সেখানেও বিশেষ বুথের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাহুলের পাশাপাশি তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা ব্যস্ত হিমাচল প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে। সোনিয়া গান্ধী দিল্লিতে থাকলেও কোনো পক্ষের হয়েই প্রচারে অংশ নেননি।
শশী ও মল্লিকার্জুন দুজনই বলছেন গান্ধী পরিবার নিরপেক্ষ রয়েছে। তবে মল্লিকার্জুন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দুজনই ভারতের ২৯টি
রাজ্য ও সাতটি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে প্রচার চালান।
ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী বুধবার।