ক্রীড়া ডেস্ক
১৯৯০ সালে সর্বশেষ লিগ শিরোপা, ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ—২০১৫ সালে ইয়ুর্গেন ক্লপ দায়িত্ব নেওয়ার আগপর্যন্ত এমনই দুর্দশা ছিল লিভারপুলের। বড় শিরোপা দূরে থাক, ছোট শিরোপা জিততেই সংগ্রাম করতে হচ্ছিল ‘অল রেড’দের। অতীতের গরিমা হারিয়ে লিভারপুল তখন যেন নামসর্বস্ব একটি দল। দিশেহারা সেই দলকে পথে ফেরাতে ক্লপের অবদান ছিল জাদুকরের মতোই।
ক্লপ নামের এই পরশপাথরের ছোঁয়ায় মুহূর্তেই ভোজবাজির মতো বদলে গেছে লিভারপুল। একের পর এক শিরোপা ঘরে তুলতে শুরু করে তারা। এর সর্বশেষ সংযোজন এফএ কাপ। ক্লপের অধীনে ঘরোয়া ও ইউরোপীয় পর্যায়ের প্রায় সব শিরোপাই জেতা হয়ে গিয়েছিল লিভারপুলের। বাকি ছিল শুধু এফএ কাপ। ২০০৫-০৬ সালের পর আবার সেই শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি। কমিউনিটি শিল্ডকে বাদ দিয়েই পূরণ হলো তাঁর সাফল্যের বৃত্ত।
চেলসির সঙ্গে লিভারপুলের গত পরশুর ফাইনাল ছিল লিগ কাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। চরিত্রের মতো চিত্রনাট্যও ছিল হুবহু এক। এবারও ১২০ মিনিট গোলমুখ খুলতে পারেনি কোনো দল। শিরোপা নির্ধারণে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। ব্যতিক্রম হয়নি সেখানেও। পেনাল্টি শুটআউটে শিরোপা জিতে লিভারপুল।
এই শিরোপা দিয়ে মৌসুমের ডাবলও জিতে নিল লিভারপুল। এখন অপেক্ষা কোয়াড্রপলের। ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে লিগ শিরোপা জেতা কঠিন হলেও লিভারপুলকে হাতছানি দিচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ২৯ মের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে পারলে অন্তত ট্রেবল নিশ্চিত হবে লিভারপুলের।
লিভারপুলের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব বেশির ভাগই পাবেন ক্লপ। তবে উচ্ছ্বসিত লিভারপুল কোচ কৃতিত্ব দিলেন শিষ্যদের। ক্লপ বলেন, ‘যেভাবে লড়াই করেছে, আমি ছেলেদের নিয়ে দারুণ গর্বিত। অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ, উত্তেজনাপূর্ণ শুটআউট।’