মির্জাপুরের মহেড়া ইউনিয়নের হিলড়া থেকে আদাবাড়ি সড়কে, মুটোখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর একপাশের গ্লাইডওয়ালের অংশবিশেষ সাত দিন আগে ভেঙে গেছে। ভেঙে পড়েছে সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশও। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। পথচারী হেঁটে সেতু পারাপার হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক গ্রামের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বছর বন্যায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন মেরামত করা হয়নি বলেই এটি ভেঙে পড়ে। তাঁদের দাবি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের।
সরেজমিনে দেখা যায়, হিলড়া থেকে আদাবাড়ি গ্রামে যাওয়ার পথে রয়েছে সেতুটি। প্রতিদিন অনেক যানবাহন চলাচল করে এ পথে। এ ছাড়া এ পথে আশপাশের ১০-১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত বছর বন্যায় পানির স্রোতে সেতুটির গ্লাইডওয়ালের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। ফলে তখনই এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সে সময় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও সেতুটি মেরামত করা হয়নি। সাত দিন আগে একপাশের সেতুর গ্লাইডওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে গেছে এর সংযোগ সড়কের একাংশও। এ কারণে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরা ঝুঁকি নিয়েই হেঁটে সেতু পারাপার হচ্ছে।
মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রুপেলা বেগম বলেন, সেতুটি প্রায় এক বছর আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। মেরামত না করায় এখন ভেঙে পড়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আদাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর সবুর মিয়া বলেন, ‘গত বছর বন্যার সময় যখন সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখনই মেরামত করা দরকার ছিল। মেরামত করলে এখন এভাবে ভেঙে পড়ত না। এখন আমাদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।’
মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সভায় সেতুটি মেরামত করা না হলে ভেঙে পড়বে বলে জানিয়ে ছিলাম। আমাদের আশ্বাস দেওয়ার পরও সেতুটি মেরামত করা হয়নি। তাই ভেঙে পড়েছে। এখন ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণেই সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সম্ভব সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছিল। এবার সেতুটি ভেঙে পড়ার পর গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য সেতুর পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এখন আবারও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।