রাজশাহীর বাগমারায় হেলাল উদ্দীন নামের অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগপত্রের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হেলাল উদ্দীন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার পাহাড়পুর গ্রামের প্রতারক আব্দুর রহিমকে চাকরির জন্য টাকাগুলো দিয়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের কামনগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম তাঁর ছেলে তাইজুল ইসলামকে সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য একই উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মুগাইপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হেলাল উদ্দীনকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর প্রতারক চক্র তাইজুল ইসলামকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেন ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি। ওই নিয়োগপত্রে তাইজুল ইসলামকে একই সালের ২৮ জুলাই প্রশিক্ষণের জন্য টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনাক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তাইজুল ইসলাম নিয়োগ পেয়ে প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন। ফিরে এসে ঘটনাটি তাঁর বাবাকে জানান। বাবা সাইফুল ইসলাম জানার পর বিষয়টি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হেলাল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হেলাল উদ্দীন সাইফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারক আব্দুর রহিমের বদলগাছী থানার পাহাড়পুর গ্রামে যান। প্রতারক আব্দুর রহিম টাকা ফেরত দেবেন বলে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা শুরু করেন বলে অভিযুক্ত সেনাসদস্য হেলাল উদ্দীন দাবি করেন।
টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হেলাল উদ্দীনকে অভিযুক্ত করে রাজশাহী পুলিশ সুপার বরাবর গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হেলাল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি কোনো টাকাপয়সা লেনদেন করেননি। নওগাঁর বদলগাছী এলাকার আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তিকে অভিযোগকারী সাইফুল ইসলাম টাকা দিয়েছেন।
