নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ে কোনো শিক্ষক নেই। এতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
ফলে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক কাঙ্ক্ষিত জ্ঞানার্জন হচ্ছে না বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষক না থাকলে পাঠদান করা কঠিন। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগের বিধান রয়েছে। তাই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪১টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। ২০১৩ সাল থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে চারু ও কারুকলা বিষয়টি আবশ্যিক করা হয়েছে। ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
কয়েকটি বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় ওই পদে একজন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু আজও উক্ত পদে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পদটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক নিয়োগের বিধান থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না। ফলে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে পাঠদান চালানো হয়।
উপজেলার আগিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝর্ণা আক্তার ও ঘাগড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আফসানা আক্তার জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে ওই বিষয়ে কোনো শিক্ষক নেই। অন্য বিষয়ের স্যারেরা তত্ত্বীয় ক্লাস নেন। কিন্তু আমরা ব্যবহারিক ক্লাস ভালোভাবে করতে পারি না। তাই চিত্র অঙ্কন করা বুঝতে পারি না।
শিক্ষার্থী অভিভাবক ফজলুল হক বলেন, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকলে বিষয়টি পড়াবেন কে? তাহলে পাঠ্যক্রমে ওই বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের লাভটা কী?
উপজেলার আগিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদরুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি কারিগরি ও ব্যবহারিক দক্ষতা নির্ভর। তাই অন্য বিষয়ের শিক্ষকের দ্বারা পাঠদান করা খুব কঠিন ও জটিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষক না থাকলে পাঠদান করা তো কঠিনই। তা ছাড়া চারু ও কারুকলা বিষয়টি তো আরও জটিল। এ বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষা না থাকলে পাঠদান করা অসম্ভব।