নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র মানুষের জন্য কত বড় ঝুঁকি, তা আমরা অনুধাবন করতে পারছি না। যেকোনো জ্বালানিকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রেই স্থান নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো জায়গায় নৈতিকভাবেই কোনো কেন্দ্র করা উচিত না, যেখানে অনেক মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। মানুষকে নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন করতে পারে।
এত ঘনবসতিপূর্ণ একটা জায়গায় রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রটা করা হয়েছে। সেটা এখন পর্যটনের একটা জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ওইটার মধ্য দিয়ে কত বড় একটা ঝুঁকি যে আমাদের জন্য তৈরি হয়ে আছে, সেটা আমরা অনুধাবন করতে পারছি না।’
গতকাল শুক্রবার ‘জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ে বাপা-বেন বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। যেকোনো নীতিনির্ধারণের আগে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আলোচনা যদি না হয় তাহলে নীতিনির্ধারণের নানা ধরনের যে বিবেচনাগুলো থাকে, সেগুলো সবার কাছে স্পষ্ট হয় না। নীতিনির্ধারকেরা তো আমাদের জন্য নীতি নির্ধারণ করে দেন কিন্তু সেটা প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিগত জায়গায় প্রতিঘাত করে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘রামপাল নিয়ে আমাদের যে আপত্তি আছে, তা-ও সরকার মোটামুটি আমলে নিচ্ছে। আগে যেমন একেবারেই খারিজ করে দিতেন এখন তেমন হচ্ছে না। নতুন করে আশাবাদী হতে পারি। আশা না থাকলে তো কাজও করতে পারব না।’
আগামী বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ ও ১২ তারিখে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। সম্মেলন উপলক্ষে ১২টি বিষয়ে প্রবন্ধ আহ্বান করা হয়েছে। বাপার সভাপতি সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সহসভাপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের সালেহ তানভীর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।