হোম > ছাপা সংস্করণ

জুরাছড়ির সুরকৃষ্ণ চাকমাবক্সিংয়ের নতুন নক্ষত্র

সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)

দেশের প্রথম পেশাদার আন্তর্জাতিক বক্সিং টুর্নামেন্টের ৬১ কেজি লাইটওয়েট ইভেন্টে সেরা হয়েছেন রাঙামাটির জুরাছড়ির সুরকৃষ্ণ চাকমা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘সাউথ এশিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং ফাইট নাইট—দ্য আল্টিমেট গ্লোরি’ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেপালি বক্সার মহেন্দ্র বাহাদুর চাঁদকে হারিয়ে জয়ী হন সুরকৃষ্ণ চাকমা।

এর মধ্য দিয়ে ক্রিকেট কন্যাদের পর জুরাছড়ির ক্রীড়াঙ্গনে ‘নতুন নক্ষত্র’ হিসেবে আবির্ভূত হলেন তিনি।

সুরকৃষ্ণ চাকমা উপজেলার মধ্য বালুখলী এলাকার প্রয়াত জ্ঞান বিকাশ চাকমা ছেলে। তাঁর বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিতেন্দ্র কুমার নাথ।

জানা গেছে, টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুতেই অ্যাটাক করতে গিয়ে রিংয়ে পড়ে যান নেপালি বক্সার মহেন্দ্র বাহাদুর চাঁদ। এতে নকডাউনের পয়েন্ট পেয়ে যান সুরকৃষ্ণ চাকমা। চার রাউন্ড শেষে তিন বিচারকের কাছ থেকে ৪০-৩৬, ৪০-৩৬, ৩৭-৩৯ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হন জুরাছড়ির এই বক্সার।

সুরকৃষ্ণ চাকমার বড় মামা সুকৃতিময় চাকমা বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে সুরকৃষ্ণ। পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরে তাকে রাঙামাটি নিয়ে আসা হয়। প্রাইমারি গণ্ডি পেরিয়েই বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) পড়ার সুযোগ পায় সে। আমাদের আশা ছিল, সে দেশের ফুটবল বা ক্রিকেট অঙ্গনে সেরা হবে। তা না হলেও, বক্সিং সেরা দেখতে পেরে আমরা অনেক খুশি।’

সুরকৃষ্ণের আরেক মামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা জানান, ‘সুরকৃষ্ণ দেশসেরা হয়েছে, এটাই আমাদের গর্ব।’ তার আগামী পথচলা সুগম করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সুরকৃষ্ণ চাকমা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বক্সিংয়ে টিকে থাকার জন্য উন্নত মানের ট্রেনিং দরকার, যা দেশে সম্ভব নয়। উন্নত ট্রেনিং পেলে বক্সিংয়ে দেশকে আরও বড় কিছু উপহার দিতে পারব। তবে এই ট্রেনিংয়ে সহযোগিতা পাওয়া এখন আমার কাছে প্রধান প্রতিবন্ধকতা।’ তাঁর বেড়ে ওঠায় সহযোগিতাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞা জানান তিনি।

সুরকৃষ্ণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে বিকেএসপির নানা প্র্যাকটিসের মধ্যে বক্সিংয়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মে যায়। কঠোর অনুশীলন, কৌশল ও সাহসের সঙ্গে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে বক্সার হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৩ সালে তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালে ‘বাংলাদেশ গেমসে’ অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে সোনা জিতে নেন। ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে দেশের পতাকা নিয়ে স্কটল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ ঘটে তাঁর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ১৯-২০ ব্যবধানে হেরে গেলেও রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য বৃত্তি লাভ করেন সুরকৃষ্ণ।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে কিক-বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আলী জ্যাকোর সহযোগিতায় লন্ডনের পিকক জিমে বিশ্বমানের কোচের সান্নিধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ার হরিয়ানা রাজ্যে আবারও ৫ মাস ট্রেনিংয়ের সুযোগে হরিয়ানা রাজ্যের স্টেট চ্যাম্পিয়নকে প্রথম ম্যাচেই পরাজিত করেন। এ ছাড়া নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে বক্সিংয়ের ৬০ কেজি ওজনের ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের পক্ষে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন সুরকৃষ্ণ চাকমা।

এদিকে রাজধানীর মিরপুরে দেশে পেশাদার বক্সিংয়ের প্রথম আন্তর্জাতিক আসর ‘আলটিমেট গ্লোরি ফাইট নাইটে’ ক্যারিয়ারের তৃতীয় লড়াইয়ে নামেন সুরকৃষ্ণ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, নেপাল ছাড়াও ভারতের একজন বক্সার অংশ নেন। ইভেন্টে মোট তিনটি আন্তর্জাতিক লড়াই হয়। এ ছাড়া আরও চারটি লড়াইয়ে স্থানীয় আটজন বক্সার লড়েন। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন