পাইকগাছার নোয়ালতলা ও চক শুননাল মৌজায় সংস্কার নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মধ্যেই গতকাল বাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ। এ সময় কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ারদার তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ও কপিলমুনি ইউনিয়নের সীমান্তে নোয়ালতলা ও চক শুননাল মৌজা অবস্থিত। এ মৌজায় ৭০০ বিঘা চিংড়ি ঘেরের মালিক শেখ আনারুল ইসলাম ও নির্মল মজুমদার। উপজেলা প্রশাসন ও চিংড়ি চাষি সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেড়িবাঁধ দিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে চিংড়ি চাষ করার কথা। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ আনারুল ইসলাম ও নির্মল মজুমদার ওয়াপদার বাঁধ সংস্কার ও বিকল্প বেড়িবাঁধ শুরু করেন।
এদিকে ওয়াপদা কেটে ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেন গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। তিনি বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিলে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ারদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চেয়ারম্যান কওছার আলী জানান, ঘের মালিক ওয়াপদা সংস্কার করে সর্বসাধারণের উপকার করেছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। রাজু আহমেদ জানান, ওয়াপদার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কাজ করা ঠিক হয়নি। বাকি মতামত লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে তিনি জানান। ঘের মালিক আনারুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ওয়াপদার রাস্তাটি নিচু ও অনেকটা চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ লাখ টাকা খরচ করে ওয়াপদা সংস্কার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করছি। তবে ওয়াপদার কাছ থেকে পুনরায় অনুমতি নেওয়া লাগবে এটা আমার জানা ছিল না। তবে বেশিরভাগ লোকই এ কাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।