বালাগঞ্জে এবার ৩৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজারপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এর মধ্যে সর্বজনীন পূজামণ্ডপ ৩০টি, ব্যক্তিগত পূজামণ্ডপ ৪টি। করোনার সংক্রমণ কমার কারণে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
বালাগঞ্জ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদার বলেন, এসব পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পূজা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর করোনার সংক্রমণ কম থাকায় মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে।
অপর দিকে প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত সুতলি, বাঁশ, মাটি ও রঙের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে কারিগরেরা মজুরিও বাড়িয়েছেন। দুর্গাপূজায় বরাদ্দকৃত চাল দিতে মণ্ডপের তালিকা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে এসব মণ্ডপে পর্যায়ক্রমে চাল বিতরণ করা হবে।
সরেজমিনে কয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, ইলাসপুর, নবীনগর, রাধাকোনা, চানপুর, পূর্ব বাজার, আদিত্যপুর, মদন মোহনসহ প্রায় সব মণ্ডপেই প্রতিমা তৈরি করে শুকানোর কাজ চলছে। পুরোপুরি শুকানোর পর প্রতিমার গায়ে আগামী সপ্তাহে রঙের কাজ শুরু হবে। তবে কয়েকটি মণ্ডপে এখনো খড়, মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে।
ইলাশপুর এলাকার অমল দাস বলেন, গত বছর করোনার প্রকোপ বেশি থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প আয়োজনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কারিগরদেরও তেমন মজুরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারিগরদের চাহিদা বাড়ায় তাঁরা গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিমা তৈরি করতে একটু বেশি টাকায় চুক্তি করছেন।
প্রতিমার কারিগর কিপেশ বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে। প্রতিবছর প্রতিমা তৈরি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে সারা বছর সংসারের খরচ চলে। তবে গত বছর করোনার কারণে দক্ষিণা কম ওঠায় প্রাপ্য অনুয়ায়ী মজুরি পাইনি। তবে এবার পরিস্থিতি ভালো থাকায় ভালো মজুরির আশা করছি।’