হোম > ছাপা সংস্করণ

খাজনার নামে টাকা আদায়

অরূপ রায়, সাভার

সাভারের বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন ও সরকারি জমিতে বাজার বসিয়ে খাজনার নামে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এসব বাজার পরিচালিত হয়ে এলেও স্থানীয় প্রশাসন বা পৌরসভার পক্ষ থেকে বার্ষিক ইজারা দেওয়া হয় না। এর ফলে সরকার বিপুল  রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাটবাজার স্থাপনা ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, কোনো স্থানে নিয়মিত কৃষিপণ্য বিক্রি হলেই তা হাট বা বাজার হিসেবে গণ্য হবে। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে কেউ হাটবাজার বসাতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে হাটবাজার বসানো হলে তা সরকার খাসজমি হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। এ ছাড়া এই আইনে জমি দখল বা স্থাপনা নির্মাণ করলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, সাভার পৌর এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভার বাসস্ট্যান্ড, গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড, টিয়াবাড়ি ও উলাইল এলাকায় পাঁচটি বাজার রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিদিন কৃষিপণ্য, ফল ও মাছ বিক্রি হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কেউ নিজেদের জমিতে অথবা কেউ ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভাড়া নিয়ে বা সরকারি জমিতে বাজার বসিয়ে খাজনার নামে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে মাছ ও কাঁচাবাজার বসিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যবসায়ী। ওই বাজারে খাজনার কথা বলে প্রতিদিন দোকান অনুসারে ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জমির মালিকের পক্ষ থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউসুফ টাওয়ারের পাশে বড় একটি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ওই শেডের নিচে বসে পণ্য বিক্রি করলে জমির মালিককে টাকা দিতে হয়।

গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক বিঘা পরিত্যক্ত জমিতে বাজার বসিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। জজ মিয়া, কুদ্দুস মিয়াসহ কয়েকজন বাজারটি পরিচালনা করছেন। ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফল নিয়ে এসে ওই বাজারে বিক্রি করেন। এ জন্য তাঁদের পণ্য বিক্রির টাকার ওপরে শতকরা ১০ টাকা হারে খাজনা দিতে হয়।

কুদ্দুস মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগে তাঁরা সরকারের কাছ থেকে ওই জমি এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিলেন। পরে সরকার ইজারা নবায়ন না করলেও তাঁরা দখল ছাড়েননি। এই অবস্থায় তাঁরা ওই জমিতে ফলের বাজার বসিয়েছেন। ফল বিক্রি করার সুযোগ দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের কিছু টাকা দেন। তবে বাজারটির অনুমোদন নেই বলে জানান তিনি।

টিয়াবাড়ি এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভাড়া নিয়ে কয়েক ব্যক্তি পাইকারি কাঁচাবাজার বসিয়েছেন। বাজারটিতে ৬৫টি গদিঘর রয়েছে। এসব ঘরসহ মহাসড়কসংলগ্ন সওজের জমিতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, নানা ধরনের সবজিসহ ফল বিক্রি হয়ে থাকে। এসব পণ্য কেনাবেচার জন্য জমির মালিক বা ভাড়াটিয়ারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন হারে টাকা আদায় করে থাকেন। কেউ সওজের জমিতে বসে পণ্য বিক্রি করলে তাঁদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়।

বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ দারগ আলী মোল্লা বলেন, তাঁরা ভাড়া নিয়ে গদিঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন। পণ্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁরা আড়তের খাজনা হিসেবে টাকা নেন। সওজের জমিতে বসে যাঁরা পণ্য বিক্রি করেন, তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন, এর জবাবে দারগ আলী বলেন, আড়তে জায়গা না হওয়ায় তাঁরা পণ্য বিক্রেতাদের সওজের জমি ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য তাঁরা সেখান থেকেও টাকা আদায় করেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান বলেন, বাজারের বিষয়টি পৌরসভা দেখবে। তবে ইজারাগ্রহীতারা শর্ত ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
ইজারা ছাড়া বাজার পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী আব্দুর রব বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার হিসেবে ঘোষণা করা হলে পৌরসভা থেকে ইজারার ব্যবস্থা করা হবে।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, খোঁজ নিয়ে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এসব বাজারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন