Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ভাগনেকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে সহযোগীকে খুন

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

ভাগনেকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে সহযোগীকে খুন

গাজীপুরের কাপাসিয়ার ইদ্রিস হত্যার দেড় বছর পর এর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ খুনের ঘটনায় করা মামলার আসামি মো. মেজবাহ উদ্দিনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। মেজবাহ জানিয়েছেন, উপজেলার টোক বাইপাস এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে ভাগনে সৈয়দ জহির আহসান জাহিদকে ফাঁসাতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের সহযোগী ইদ্রিসকে খুন করেন রবিন ভূঁইয়া।

এর আগে গত রোববার টোক ফেরিঘাট সেতুর ওপর থেকে মেজবাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার মেজবাহ উদ্দিন ময়মনসিংহের পাগলা থানার টাঙ্গাব এলাকার মো. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।

গতকাল বুধবার গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের সঙ্গে তাঁর নানাবাড়ির ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে মামা রবিন ভূঁইয়ার বিরোধ চলছিল। ওই সময় স্থানীয় ইদ্রিস ও রফিক জাহিদের পক্ষ নিয়ে তাঁর মামাবাড়ির সম্পত্তি দখলে তাঁকে সহযোগিতা করে। পরে জাহিদের সঙ্গে ইদ্রিসের দ্বন্দ্ব হলে ইদ্রিস রবিন ভূঁইয়া সঙ্গে যোগ দেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার তিন দিন আগে টোক বাইপাস এলাকায় জাহিদ তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে ইদ্রিসকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এই সুযোগে রবিন ভূঁইয়া তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জাহিদকে ফাঁসাতে ইদ্রিসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে মেজবাহ উদ্দিন ও ঘটনায় জড়িত আসামিরা রবিন ভূঁইয়ার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইদ্রিসকে হত্যার চুক্তি করেন।

মাকছুদের রহমান বলেন, পরিকল্পনা মোতাবেক মেজবাহ উদ্দিন ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রাত দুইটার সময় কৌশলে ইদ্রিসকে রবিন ভূঁইয়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। আগে থেকে সেখানে অবস্থানরত বাকি আসামিরা গলা চেপে ধরে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করেন এবং এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে ইদ্রিসকে হত্যা করেন। পরে জাহিদ তাঁর নানাবাড়িতে যে ঘরে ঘুমাতেন, তার পেছনের পুকুরপাড়ে ইদ্রিসের লাশ ফেলে চলে যান।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন ইদ্রিসের মা মোর্শেদা জাহিদসহ ১০ জনের নামে মামলা করেন। এর প্রায় চার মাস পর মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট অপর খুনি দুখু মিয়া ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি রবিন ভূঁইয়ার সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় খুনের চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন। বর্তমানে কারাগারে আছেন সুমন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ