হোম > ছাপা সংস্করণ

তীর রক্ষায় নদ থেকে খাল

আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মধুপুরে তীর রক্ষার নামে বংশাই নদকে খাল বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যেখানে ৫০ বছরেও ভাঙন দেখা দেয়নি, সেখানে তীর রক্ষার নামে নদের অংশ ভরাট করা হচ্ছে; কিন্তু ৩০০ মিটার উজানে ভাঙনকবলিত অংশ মেরামতে দীর্ঘদিনেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কেটে ফেলা হয়েছে দুই পাড়ের গাছ।

অবশ্য নদের পাড়ে একটি ছাতার নিচে তিনটি বেঞ্চ দিয়ে ছয়জন নাগরিকের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড নদের তীর রক্ষার নামে অউন্নয়ন রাজস্ব বাজেটের (এনডিআর) আওতায় মধুপুরে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ডের পাশে নদের তীরে ১৫০ মিটার জায়গায় ব্লক বসিয়ে একটি গোল ছাতার নিচে দেড় মিটার করে তিনটি বেঞ্চ তৈরি করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রায়ান কন্সট্রাকশন এ কাজ বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ১২-১৫ জন শ্রমিক দুই ভাগে কাজ করছেন। কেউ বালু ফেলে তার ওপর জিওটেক্স বিছিয়ে ব্লক বসানোর কাজ করছেন। তাঁদের তদারকি করছেন ঠিকাদারের নিয়োজিত দুই ব্যক্তি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তাঁরা জানান, নদের ভাঙন রোধের জন্য প্রকল্পের ডিজাইন অনুসারে তিনটি সাইজের ১৩ হাজার ৭৯৪টি ব্লক তৈরি করে কাটিং, ফিলিং, গাইডওয়াল করে জিওটেক্স বিছিয়ে ব্লক বসানোর কাজ চলছে। নদীশাসনের কাজ শেষ হলে একটি ছাতা ও তিনটি বেঞ্চ বসানো হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমি ১৫ বছরে প্রকল্প এলাকায় কখনো ভাঙন দেখিনি; বরং পারের মানুষকে নদ ভরাট করতে দেখেছি। নদের ভাঙন ঠেকিয়েছে গাছগুলো। সেই গাছ কেটে ব্লক ফেলে নদকে আরও সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে।’

অন্যদিকে নদের ভাঙনে মধুপুর হাসপাতালের সামনে ঢাকা-জামালপুর মহাসড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেখানে ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, যে গাছগুলো নদীতীর রক্ষা করত, সেই বিশালাকারের রেন্ট্রি-কড়ইসহ বিভিন্ন গাছ বন কমিটির অনুমতি ছাড়াই কেটে বিক্রি করা হয়েছে। এখন সেখানে ব্লক বসানো হচ্ছে। ব্লকগুলোও তৈরি করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের, যেন তদারকি করার কেউ নেই। এর মধ্য দিয়ে খালে পরিণত করা হচ্ছে বংশাই নদকে; কিন্তু যেখানে ভাঙছে সেখানে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

মধুপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু সালেহ জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি অবহিত নন।

তদারকি কর্মকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সোলায়মান ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এমদাদুল হক জানান, অন্যান্য কাজের ব্যস্ততায় এ প্রকল্পে সময় দিতে পারেননি তাঁরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক বলেন, নদের তীর রক্ষায় এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার ৪০০ মিটার উজানে ভাঙনের খবর জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন