ক্রীড়া ডেস্ক
লর্ডস টেস্টের আগে কি একটু চাপে ইংল্যান্ড? ঘরের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের কাছে গিয়েও অমন হার, চারদিকে প্রশংসিত ‘বাজবল’ হঠাৎ আতশি কাচের নিচে—ইংল্যান্ডকে চাপ ঘিরে ধরার উপাদানের কমতি নেই। স্বাগতিকদের কথাবার্তায় অবশ্য এই ধারণার বহিঃপ্রকাশ নেই। তবে কাজে-কর্মে চাপের অনুভূতি কিছুটা ঠিকই টের পাওয়া যাচ্ছে। চলতি গ্রীষ্মে খেলা দুটি টেস্টেই দুদিন আগে একাদশ জানিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। এর মধ্যে এজবাস্টনে প্রথম টেস্টও আছে।
কিন্তু লর্ডসে আজ দ্বিতীয় টেস্টের আগে এই পথে হাঁটেনি ইংল্যান্ড। একাদশ জানিয়েছে ম্যাচের এক দিন আগে, গতকাল। যার জন্য অপেক্ষা, সেই মঈন আলীকে দলের বাইরে রেখেই এগোতে হয়েছে ইংলিশদের। এজবাস্টনে বেশ অস্বস্তি নিয়ে খেলেছেন মঈন। শেষ পর্যন্ত অবসর ভেঙে ফেরার পর এক ম্যাচ খেলেই চোটের কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁকে। মঈনের জায়গায় দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের একাদশে সুযোগ পেয়েছেন পেসার জশ টাং। চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য এত ভাবনা নেই। এজবাস্টন টেস্টে রান পাননি স্টিভ স্মিথ ও মারনাস লাবুশানে। দুজনের রান পাওয়াকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছে না অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্টেও হয়তো একাদশে দেখা যাবে না মিচেল স্টার্ককে। স্কট বোল্যান্ডের ওপরই ভরসা রাখছে অজিরা। একাদশে না থাকতে পারাটা একপ্রকার মেনেই নিয়েছেন স্টার্ক, ‘যথেষ্ট সময় ধরে খেলছি, অনেকবার বাদও পড়েছি। এটা তাই আমার জন্য নতুন কিছু নয়, শেষবারও নয়। অবশ্যই এটা ভালো লাগার মতো কিছু নয়, সবাই তো চায় খেলতে।’