খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
যৌন নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচার, ভুক্তভোগীর অধিকার- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় তারা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ছাত্রীর সাথে ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান বক্তারা। একইসাথে অপরাধীকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব বলেন, ‘আজ আমাদের বোনের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তথাকথিত যে সাংবাদিক এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তার অতি দ্রুত শাস্তির দাবি জানাই। আমরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে যদি অপরাধীকে সাজা না দেওয়া হয় তাহলে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে।’
এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী জি এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বহুবার মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের বহু আইনকানুন থাকলেও এটি আইনেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। নীতিনির্ধারকদের উচিৎ এটি বাস্তবায়ন করা এবং যৌন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।’
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে আসামিকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। এ ছাড়া এ সময় তারা আসামিকে শাস্তির আওতায় আনতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় এবং তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে ঝিনাইদহে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম নিরব (৩০) দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজেই বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।