সন্ধ্যার পর খোলা আকাশের নিচে থাকা জিনিসপত্রে কুয়াশার উপস্থিতি কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বাজারে শীতকালীন সবজি বিক্রি হতে শুরু করেছে। আগাম সরবরাহ হওয়া এসব সবজির দাম এক সপ্তাহে কমে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতায় আসতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচের দাম।
দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
কুড়িগ্রাম শহরের জিয়া বাজারে গিয়ে জানা গেছে, দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বৃহস্পতিবারও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
এদিকে শীতের আগমনে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ১৫-২০ দিন আগে থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, শিম, চিচিঙ্গা, ধনেপাতাসহ শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করে। সরবরাহের শুরুতে আকাশচুম্বী দাম থাকলেও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সবজির সরবরাহও বাড়ছে।
জিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, সরবরাহের শুরুতে ১৫-২০ দিন আগে ফুলকপি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার তা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। বাঁধাকপি শুরুতে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া মুলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে নেমে ৪০, ধনেপাতা ১৫০ থেকে নেমে ১০০, শিম ১৬০ থেকে নেমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গাজরের সরবরাহ শুরু না হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান গাজর নামে এক জাতের গাজর প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর দামও চড়া, প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ বাড়তে থাকলে সবজির দামও কমতে থাকবে। তবে সরবরাহ কমায় দুদিনের ব্যবধানে মরিচ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।’
এদিকে জিয়া বাজার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটারের ব্যবধানে কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌর বাজারে একই ধরনের সবজির দামে কিছুটা পার্থক্য পাওয়া গেছে। এই বাজারে সব ধরনের সবজি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা, আবার কিছু সবজিতে ১০ টাকারও বেশি ব্যবধান পাওয়া গেছে।