সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) শুরু হয়েছে মাসব্যাপী মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান। মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। গতকাল শনিবার সকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সিসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডে দরগা এলাকা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ২৭টি ওয়ার্ডে এই অভিযান পরিচালিত হবে বলে সিসিক সূত্রে জানা গেছে। কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের কাউন্সিলরেরাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উদ্বোধনকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক বলেন, সিসিকের মশকনিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে মহানগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সিসিকের কর্মীরা নির্দিষ্ট স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকেন। সম্মানিত নাগরিকররা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেললে নগর পরিচ্ছন্নতার কাজ আরও দ্রুত সময়ে করা সম্ভব হবে।
কোনো অবস্থাতেই বাসা-বাড়ির আশপাশের খোলা স্থান, নালা বা ছড়ায় আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিসিক মেয়র বলেন, মশকনিধন অভিযানে ফগার মেশিন ও স্প্রে দ্বারা ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বিশেষ করে এডিস মশার উৎস অনুসন্ধান ও নিধনে নাগরিকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ এডিস মশা বাসা বাড়ির ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বংশ বিস্তার করে।
তিনি আরও বলেন, যেমন খাটের নিচে জমে থাকা পানিতে, এসির পানি, ফুলের টব, ডাব বা নারকেলের খোসা, বাসার ছাদে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। ফলে এসব স্থান নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এডিস মশার উৎসের সন্ধান পেলে দ্রুত সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সাগরদিঘীরপাড়ের বাসিন্দা প্রকৌশলী সোহাগ আহমদ বলেন, শীতকাল বাসা-বাড়িসহ সব জায়গায় পানি জমা থাকে বেশি। এই জমা পানিতে এডিস মশার জীবাণু বিস্তার লাভ করে। তাই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সময় উপযোগী কাজ। তা ছাড়া সিলেট শহরে অনেক ছড়া আছে। আমাদের এলাকায়ও একটি ছড়া রয়েছে। এখন বৃষ্টি নেই তাই ছড়ার পানিও স্থির। এই কার্যক্রমে ছড়ার পানিও পরিষ্কার করা উচিত।