জীবনের নতুন অধ্যায়ে আপনাকে অভিনন্দন।
ধন্যবাদ। খবরটি আমি জানতে পেরেছি কিছুদিন আগে। কিন্তু কোনোভাবেই আমার আম্মু-আব্বু জানাতে দিতে চাচ্ছিল না। তাদের সঙ্গে একপ্রকার যুদ্ধ করে অবশেষে সবাইকে জানানোর অনুমতি পেয়েছি।
নিশ্চয়ই সবার কাছ থেকে অনেক শুভকামনা পাচ্ছেন। আপনি নিজে যখন শুনেছিলেন, অনুভূতি কেমন ছিল?
খবরটা শুনে আমি তো লাফালাফি শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সবাইকে জানাতে বাসা থেকে নিষেধ ছিল। আমার মনে হয়েছে, এই একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য আমি সারা জীবন অপেক্ষা করেছি। সবাই অনেক উপদেশ-পরামর্শ দিচ্ছেন। বলছেন, ফেসবুকে নিজের ছবি, জামাইয়ের ছবি এখন একটু কম দিবা। মানুষের নজর লাগবে।
আপনার জীবনসঙ্গীর প্রতিক্রিয়া কেমন?
ও তো অনেক খুশি। তবে কোন সময় কোন শুটিংয়ে চলে যাই। শুটিংয়ে ঠিকমতো টেককেয়ার হবে কি না। কী থেকে কী হয়ে যায়। এসব নিয়ে খুবই চিন্তায় আছে।
এখন কি আপনার মা-বাবার কাছে থাকছেন?
আমাদের বাসায় থাকছি। ওর (জীবনসঙ্গী রাকিব) তো সামনে নির্বাচন। তাই ভাঙা রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন গাজীপুর যায়। আমার তো যাওয়া নিষেধ। আমি তখন আম্মুর বাসায় এসে থাকি। ও যখন আসে, আমাকে নিয়ে যায়।
কিছু কাজ করব। দৌড়ঝাঁপ, হাঁটাহাঁটি বেশি না করে করা যায় এমন কাজে সময় দেব। কোনো কাজ ছাড়া ঘরে বসে থাকলে তো মরেই যাব! বাসা থেকে বলেছে ফটোশুট কিংবা সাক্ষাৎকার, যেগুলো বসে বসে বা দাঁড়িয়ে করা যায়, এগুলো করতে। বেশি পরিশ্রম হয় এমন শুটিং করা যাবে না।
আপনার কি কোনো সিনেমার কাজ বাকি আছে?
সব কাজ শেষ করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বলতে পারেন, আমি সবকিছু এমনভাবে গুছিয়ে এনেছি, যাতে আমার সন্তানকে সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আনতে পারি।
অনেকে তো সন্তানের নাম আগে থেকে ঠিক করে রাখেন। আপনি রেখেছেন?
মেয়ে হলে ফারিস্তা রাখব। ছেলে হলে কী রাখব এখনো ঠিক করিনি।
আগামী ৭ অক্টোবর আপনার অভিনীত ‘যাও পাখি বলো তারে’ মুক্তি পাচ্ছে। এ সিনেমার প্রচারণায় থাকতে পারবেন?
অবশ্যই থাকব। আমার সিনেমা মুক্তি পাবে, আর আমি থাকব না তা তো হয় না।