হোম > ছাপা সংস্করণ

ঈদের বাজার সেমাই-মাংস-পেঁয়াজের দাপটে নাকাল ক্রেতা

অর্চি হক, ঢাকা

মা-মেয়ের দুই সদস্যের পরিবারে মাছ-মাংস সবসময় খাওয়া হয় না। কিন্তু ঈদের দিন বাসায় মেহমান আসায় এসব না হলে চলেও না। তাই মেয়ে তিশাকে নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসেছিলেন শাহনাজ আক্তার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ঈদের দিন দরকার হয়, এমন প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। সেমাই, মাছ-মাংস আর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতেই মাসের খরচ অর্ধেক শেষ। বাকি মাস চলতে জমা টাকায় হাত দিতে হবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস, মুরগি, মসলা, সেমাই ও চিনির দাম এক বছরের ব্যবধানে ৪ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ডিম-সবজির কিছুটা কমেছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এ সময়ে গরুর মাংসের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭২০-৭৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকায়। গত বছর ব্রয়লার মুরগি ছিল কেজিপ্রতি ১৯০-২১৫ টাকা। গতকাল বাজারে ২৫০-২৬০ টাকায় তা বিক্রি হতে দেখা গেছে। সোনালিকা ও দেশি মুরগির দামও এক বছরের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪০-১০০ টাকা পর্যন্ত।

মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ভাই ভাই মুরগির আড়তের বিক্রেতা তানভীর হোসেন বলেন, ‘খামারিদের বেশি দামে মুরগির বাচ্চা কিনতে হইতেছে। তাই আমরাও বেশি দামে পাইতেছি। সেভাবেই বিক্রি করতে হইতেছে।’

গতকাল বাজারে সুগন্ধি চিনিগুঁড়া চাল ৯৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লাচ্ছা সেমাই ৮০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর খোলা সেমাই ২২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, সেমাইয়ের দাম কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে। গুঁড়া দুধ ১ কেজির প্যাকেট ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মসলার দাম। টিসিবির হিসাবমতে, নতুন পেঁয়াজের দাম গত বছর এ সময়ে ছিল ৩০-৪০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে রসুনের দাম ৬১ শতাংশ বেড়ে ২০০-২২০ টাকা হয়েছে। শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০, আদা ১৯০-২৩০, জিরা ৬৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়াই শ গ্রাম গরম মসলার দাম এখন ৪০০-৪৫০ টাকা। গত বছর ছিল ২৫০-৩০০ টাকা।

টিসিবির তথ্য বলছে, বছরের ব্যবধানে ২১ শতাংশ বেড়ে চিনি এখন ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ১৫০ টাকা দরেও চিনি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ধরনের বাদামের দামও কেজিতে ২০  থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের তুহিন জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহাদাত ব্যাপারী বলেন, তিন মাস আগেও মসলা, বাদামের দাম একটু কম ছিল। এখন কিছুটা বেড়েছে। 

ডিম-সবজির দাম কিছুটা কম
গতকাল প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১২০-১৩০ ও সাদা ডিম ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবজির দামও কিছুটা কম। শসা ৩০-৪০, গাজর ৪০-৫০, টমেটো ৪০-৫০, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০, বেগুন ও করলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেবুর হালি ১৫-৩০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুদিনের মধ্যে মুরগির দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে গেল। আমদানির পরও আলু-পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। রমজান, ঈদকে ব্যবসায়ীরা মোক্ষম সুযোগ হিসেবে নেন। বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পাড়ার মুদিদোকানি—সবাই বেশি মুনাফা করতে চান। বাজার তদারকি না থাকায় এমন হচ্ছে। বাজার ফ্রিস্টাইলে ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন