পৌষের শেষ দিকে শীত জেঁকে বসেছে। মাঠে মাঠে বোনা ও রোপা আমন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হতে চলেছে। আর এ সময়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরিষার আবাদ হয়নি এমন ফসলি জমিতে চলছে আগাম জাতের বোরো আবাদের প্রস্তুতি। তাই কৃষকেরা এখন জমি তৈরি, বীজতলা পরিচর্যা ও চারা বীজ বপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কিন্তু ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় বীজতলার ক্ষতি হতে পারে–এমন আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে বীজতলায় চারা বাঁচাতে নানা উপায় বের করতে হচ্ছে তাঁদের। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে ঠান্ডা থেকে বীজতলার চারা রক্ষা করতে পলিথিন ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দিঘী সগুনা গ্রামের কৃষক সোহরাব আলী নাবি জাতের বোরো ধান আবাদ করার জন্য বীজতলা তৈরি করে তা বপন করার পর পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিকেলের পর থেকে কুয়াশা পড়া শুরু হয়। রাতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় বীজতলা। এতে চারার ক্ষতি হতে পারে। তাই সারা দিন পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেওয়া হয়। আবার রাতে বীজতলায় পানি দিয়ে রাখতে হয়। সকাল হলে সেই পানি বীজতলা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এভাবে ৮ থেকে ১২ দিন করতে হয়। চারা একটু বড় হলে তখন আর এ রকম করতে হবে না।
উপজেলার মাকোড়শোন গ্রামের একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত বাড়ার আগেই বীজতলায় বীজ বপন করলে ধানের অধিক চারা গজায়। শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ার কারণে এ পদ্ধতি অনুসরণ না করলে বীজতলার চারা হলুদ কিংবা সাদা বর্ণ হয়ে যায়। আর কয়েক দিন পর তা নষ্টও হয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কৃষকদের। এই পদ্ধতিতে বীজতলার চারা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব।