ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে জিহাদ নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকেলে ওই যুবক কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার পর জেলা কারাগারের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওসি আশিকুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এলাকায় মারামারি করার অভিযোগে জিহাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। চাঁদা দাবির অভিযোগ সত্য নয়।
মানববন্ধনে জিহাদের ভাই বলেন, গত ১৪ মার্চ রাত ১টার দিকে ওসি আশিকুজ্জামানের অধীনস্থ কিছু কর্মকর্তা তার ভাই জিহাদকে বিনা অভিযোগে তাঁর ভাইকে ঘুম থেকে তুলে থানায় নিয়ে যান। পরের দিন সকালে তিনি জিহাদকে দেখতে থানায় গেলে ওসি আশিকুজ্জামান তাঁর কাছে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন, না হলে জিহাদকে তিনটি মামলায় আদালতে পাঠানোর হুমকি দেন। তিনি থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর জিহাদকে অন্য কক্ষে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন।
মানববন্ধনে গট্টি ইউনিয়নের ভবুকদিয়া গ্রামের মো. মুরাদ মোল্যা বলেন, তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত সদস্য। গত ৯ বছর ধরে পায়ে রিং লাগানো। ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করেন। ওসি আশিকুজ্জামান তাঁর শত্রুদের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। না দেওয়ায় তাঁকে পরপর তিনটি মামলায় আসামি করা হয়। এ বিষয়ে তিনি পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, ভবুকদিয়া গ্রামে একটি গন্ডগোল হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিহাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, মুরাদ মোল্যার ভাই জিহাদ এলাকায় মারামারি করেন। তাঁর নামে থানায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ জন্য পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নেয়।
অন্যদিকে মুরাদ মোল্যার শারীরিক অসুস্থতার কথা স্বীকার করে ওসি বলেন, তিনি গন্ডগোলের পরিকল্পনাকারী। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।