দেবিদ্বার প্রতিনিধি
দ্বেবিদারে দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আগামী ২ জুলাই শনিবার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মামুনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় এ তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী সবুর আহমেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার বলেন, ‘আগামী ২ জুলাই দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে এখন পর্যন্ত যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোতে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি সেগুলোতে সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের খবর পেয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজনীতির মাঠে চাঙা হতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন এ নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগ কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় ৩ বছরের কমিটিতে গত ২৬ বছরেও পরিবর্তন আসেনি। এ ছাড়া ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো কার্যালয় না থাকা নিয়েও নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে মো. জয়নুল আবেদীনকে সভাপতি ও একেএম মনিরুজ্জামান মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নুল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মো. এম হুমায়ুন মাহমুদসহ কমিটির ১৪ জন নেতা। দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন দুজন নেতা। ওই কমিটির ১৩ জন সদস্যকে এখনো কেউ চেনেন না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুজ্জামান মাস্টার আরও বলেন, ‘বড় দল হওয়ায় দলীয় পক্ষ থাকবেই। সম্মেলন হলে নেতৃত্ব আসবে, সাংগঠনিক কার্যক্রমও বাড়বে।’