জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রেখেছিলেন দু-তিন দিন। সেই ভোগান্তির শেষে এবার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ফেরিঘাটে। গোয়ালন্দ-পাটুরিয়া ফেরিঘাটের দুই পাশেই গতকাল মঙ্গলবার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ধর্মঘট শেষে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, ফেরি কম ও ঘাটস্বল্পতার জন্য এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় ছিল যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে আরও ৫ কিলোমিটারজুড়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল। প্রতিটা পণ্যবাহী ট্রাককে ১-২ দিন ও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ৬-৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পেতে।
চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকামুখী গাড়িগুলো ফেরিঘাটের দিকে এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে ৫-৬ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। মহাসড়কের পাশে খাওয়া-দাওয়া ও টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। গাড়ি ছেড়ে বাইরে কোথাও যেতেও পারছেন না বলে জানান তাঁরা।
গমবোঝাই ট্রাক নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন চালক মো. গোলাম আলি। তিনি গত সোমবার দুপুরের দিকে গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। সেখান থেকে ঘাট এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এসে দুপুর ১টায় তিনি ঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ৫টি ঘাটের মধ্যে ৩ নম্বর ঘাট বড় করা হলেও পানি কমে যাওয়ায় অপসারণ করে দ্রুত ৮ নম্বর ঘাট করা হবে। তাতে ফেরি চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং যানজট কিছুটা হলেও কমবে। আবার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করায় গাড়ির বাড়তি চাপ পড়েছে।