বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন তারা। এখন পর্যন্ত লাতিনদের ঘরে যে নয়টি বিশ্বকাপ গেছে তার দুটি উরুগুয়ের। তবে ৭২ বছর হয়ে গেছে, শিরোপায় আর চুমু খাওয়া হয়নি তাদের। এখন আর তাদের ফুটবল পরাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। গত দুই দশকে টানা বিশ্বকাপের টিকিট পেলেও কখনো ফেবারিটের তকমা লাগে না উরুগুয়ের গায়ে।
তবু সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলে কথা। উরুগুইয়ানদের কাতার বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। শুরুতেই অবশ্য লুইস সুয়ারেজ-এদিনসন কাভানিদের দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপে উরুগুয়ের মুখোমুখি আজ দক্ষিণ কোরিয়া।
সুয়ারেজ, কাভানি, দিয়েগো গদিন ও ফার্নান্দো মুসলেরাকে নিয়ে উরুগুয়ে এবার বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল। এ চারজনেরই আছে চারটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞদের সঙ্গে ফেদেরিকো ভালভের্দে ও দারউইন নুনেজদের মতো তরুণদের নিয়ে গড়া দলের ওপর এবার বড় আশা করতেই পারেন কোচ দিয়েগো আলনসো। তবে সাবেক কোচ অস্কার তাবারেজের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে বেশ বিচক্ষণতা দেখাতে হবে তাঁকে।
কোরিয়ানদের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে ২০০২ ঘরের বিশ্বকাপে শেষ চারে খেলা। গত বিশ্বকাপে এশিয়ান পরাশক্তিরা বিদায় করে দিয়েছিল ডিফেন্ডিং হিসেবে আসা জার্মানিকে। তবু গ্রুপ পর্ব থেকে ঘরে ফিরতে হয় তাদের। এবার টুর্নামেন্ট ফের এশিয়াতে বলেই নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন সং হিয়ুং-মিনরা। গতকাল জার্মানিকে হারিয়ে কোরীয়দের আশা বাড়িয়ে দিয়েছে জাপান। সব মিলিয়ে কোরিয়াকে সমীহ করতেই হচ্ছে উরুগুয়েকে। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মলেনে অধিনায়ক দিয়োগো গদিনও বললেন সেই কথা, ‘প্রতিপক্ষকে আমাদের অবশ্যই সম্মান করতে হবে।
আমরা জানি, আমরা দুর্দান্ত এক দলের মুখোমুখি হচ্ছি। তারা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গতিশীল। তাদের কজন দারুণ খেলোয়াড় আছে।’
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে ’৯০ দশকের সাড়া জাগানো দল ক্যামেরুন মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের।