মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহতের ১১ দিন পর দেওয়ান খসরু ইয়ার চৌধুরী (৬০) মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দেওয়ান খসরু একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ছিলেন।
দেওয়ান খসরুর বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর দেওয়ান পাড়া গ্রামে। মদন থানা-পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৬ মার্চ রাতে মদন পৌর সদরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আশকি পাড়া নামক স্থানে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন খসরু ইয়ার চৌধুরী। এ ঘটনায় খসরু ইয়ার চৌধুরীর স্ত্রী হাফছা আক্তার বাদী হয়ে কবির মিয়ার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ১০ মার্চ রাতে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই রাতেই মদন পৌরসদর থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কবির মিয়ার (২৪) বাড়ি আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের করাদুপ গ্রামে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত খসরু ইয়ার চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর মরদেহটি ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রীর পূর্বের দায়েরকৃত মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খসরু ইয়ার চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো মার্কেটিংয়ের কাজ শেষে ৬ মার্চ রাত ১১টার দিকে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পৌর সদরের আশকি পাড়ায় নিজ বাসায় রওনা হন। বাসার সামনে পৌঁছাতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা কবিরসহ কয়েকজন তাঁর হাতের টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে খসরুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে রাতেই তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।