Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বাড়ছে শীত, বাড়ছে ডায়রিয়া

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাড়ছে শীত, বাড়ছে ডায়রিয়া

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। কুড়িগ্রামে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যার অধিকাংশ শিশু। চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুদের বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখা বাড়বে।

সন্ধ্যা হতেই কনকনে ঠান্ডা জানান দিচ্ছে পৌষের দাপট। দিনে সূর্যের তাপে ভোগান্তি কিছুটা কমলেও বিকেল থেকে শীতের তীব্রতা শুরু হয়। বাধ্য হয়ে ঘরমুখী হতে হচ্ছে সবার। তবে জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে কৃষক ও দিনমজুরদের।শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে রোগী।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালের ১২ শয্যার এই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১১ ডিসেম্বর ১৫ জন শিশুসহ ২১ রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। গত বুধবার এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯-এ। যার মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ছিল ২৬ জন। আর গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৭ শিশুসহ ২০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন ছিল।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পুলক কুমার বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি। শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে সে বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া শিশুদের পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি দিতে হবে।’

এদিকে চলতি মাসে একটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এতে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শীতে অসহায় মানুষের ভোগান্তি কমাতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের জন্য বস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) সূত্র জানা গেছে, জেলায় কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। গতকাল শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ ডিসেম্বরের পর জেলায় একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলায় ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিম্নবিত্তদের শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য উপজেলার চাহিদাভেদে ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শীতে জেলার মানুষ যেন কষ্ট না পান, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন এনজিও থেকেও কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলাগুলোয় সেগুলো বণ্টন করা হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ