শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে ঢাকার দোহার উপজেলায় জমে উঠেছে কেনাকাটা। পোশাক ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এদিকে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বিপণিবিতানগুলোতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়।
উপজেলার জয়পাড়া কাজী সুপার মার্কেট, আহাম্মেদ শপিং মল, বেগম আয়শা শপিং সেন্টার, পাপেল শপিং মল সেন্টার, পালকি শপিং মল, আয়োজন শপিং মল, সুমন বস্ত্র বিতান, লন্ডন প্লাজা, নীল আঁচল, বেবি শপসহ অন্য শপিং সেন্টারগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, এবার থ্রি-পিস, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট-টপস, লেহেঙ্গা, বারবিকিউ শাড়ি, কাতান শাড়ি, সিল্ক শাড়ির চাহিদা বেশি। ছেলেদের ফতুয়া, পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট, ফুলপ্যান্ট, টি-শার্ট ও জিনস এবং বাচ্চাদের নানা রঙের পোশাকের সমাহার রয়েছে বিভিন্ন শপিং মলে। তবে গতবারের চেয়ে এবার বেচাকেনা কিছুটা কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জয়পাড়া বাজারের তাজমহল গার্মেন্টসের মালিক সোহেল বলেন, ‘ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি জামাকাপড় বিক্রি করি। পূজায় তেমন বেশি বিক্রি হয় না। এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি, এতে কমেছে বিক্রির পরিমাণ।’
ক্রেতা হৃদয় শর্মা বলেন, ‘পূজাকে উপলক্ষে পরিবারের জন্য কেনাকাটায় কোনো কিছু বাদ দেব না। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই কিনব।’ দোহার থানার পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অমিতাভ পাল অপু জানান, দোহার থানায় এবার ৪০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপন হবে।
দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সব পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদ্যাপনে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’