হোম > ছাপা সংস্করণ

অসময়ে ভাঙনে আতঙ্ক

ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম এবং ছোটভাকলা ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকায় থেমে থেমে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙনে এক মাসে প্রায় ১৪০ একর কৃষিজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ায় ভাঙন বেশি দেখা দিয়েছে। ভাঙনে প্রায় ১০০ পরিবার অন্য স্থানে চলে গেছে। এ ছাড়া ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে তিন ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার।

গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে ছোটভাকলার অন্তারমোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারজুড়ে কৃষিজমি ভাঙছে। মাঝেমধ্যে ভাঙনের মাত্রা বেশি দেখা যায়। নদীর পাড়ের অনেক জমি দেবে গেছে। সরিষা, ভুট্টা, উচ্ছে, টমেটোসহ নানা সবজি ও ফসল তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এখানকার কৃষকেরা।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাহাজদ্দিন বেপারীপাড়ার অনিক শেখ বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় বেশি ভাঙে। এখন শুকনা মৌসুমে এসেও প্রায় ২০-২৫ দিন ধরে বেশি ভাঙছে। এক মাসে প্রায় ১০০ বিঘার বেশি জমি বিলীন হয়েছে। এভাবে ভাঙলে কিছুদিন পর কিছুই থাকবে না। এক বছরে অন্তত ২০০ পরিবার অন্য স্থানে চলে গেছে। এখনো অনেক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে চলে যাচ্ছে। এখন তাঁরাও অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সাহাজদ্দিন বেপারীপাড়ার সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার তো বাবা অহন কিছুই নাই। প্রায় আড়াই বিঘা জমি ছিল, ঘর ছিল। গত বছর ভাঙনে সব শেষ হইয়া গেছে। অহন এলাকার একজনের বাড়িতে দুই ছাওয়াল নিয়া আছি।’

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, শুষ্ক মৌসুমেও নতুনপাড়া, সাহাজদ্দিন বেপারীপাড়া, ঢল্লাপাড়া, বাহির চর দৌলতদিয়া ও নাসির সরদারপাড়ার মাথায় বেশি ভাঙছে। এক মাসে প্রায় ৫০ একরের বেশি কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। ৫০টির মতো পরিবার ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র চলে গেছে। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ৫০০ পরিবার। নদীশাসনের কথা বারবার আলোচনায় এলেও অগ্রগতি হয়নি। অবিলম্বে নদী শাসনের উদ্যোগ নেওয়া না হলে আরও ক্ষতি হতে পারে।

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, কাওয়ালজানি এলাকায় বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক মাসে ভাঙনআতঙ্কে প্রায় ৩০টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। এখনো ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবার। এ ছাড়া প্রায় ৫০ একর কৃষিজমি বিলীন হয়েছে।

ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, চর বরাট, ছোট জলো ও কাওয়ালজানির আংশিক এলাকায় ভাঙছে। বর্ষা মৌসুমে বেশি ভাঙলেও বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে। ভাঙনে প্রায় ৪০ একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। আতঙ্কে সরে গেছে ২০টির মতো পরিবার। ভাঙনঝুঁকিতে আছে দুই শতাধিক পরিবার। বিষয়টি তাঁরা উপজেলার বিভিন্ন সভায় উত্থাপন করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, দৌলতদিয়া থেকে ছোটভাকলার অন্তারমোড় পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাড়ে অনেক কৃষিজমি ভাঙছে বলে শুনেছেন। কি পরিমাণ জমি বিলীন হয়েছে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে সাত বছর আগে আবাদি কৃষি জমি ছিল প্রায় ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ হেক্টর। এ সংক্রান্ত তথ্য জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল হক খান বলেন, নদীভাঙনের খবর তিনিও শুনেছেন। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু করণীয় থাকলে তা-ও করা হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন