হোম > ছাপা সংস্করণ

মিছিলের গন্তব্য বঙ্গবন্ধুর বাড়ি

জাহীদ রেজা নূর

২৪ মার্চ একের পর এক মিছিল আসতে থাকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে। নারী-পুরুষ-শিশুনির্বিশেষে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ এসব মিছিলে শরিক হয়। এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনের সামনে আগত অগণিত মানুষের উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে তা সহ্য করা হবে না। আমাদের ন্যায্য ও সুস্পষ্ট দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে।’

শেখ মুজিব আরও বলেন, ‘বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষই আজ ঐক্যবদ্ধ এবং কোনো শক্তি জনতাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই কিন্তু তাঁরা যদি তা না চান এবং জনগণকে দাবিয়ে রাখতে চান, তাহলে তা পারবেন না। আশা করি তাঁরা এই ভুল করবেন না। যে পর্যন্ত না বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ মুক্তি পাবে, দাবি আদায় হবে, সে পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। আপনারা শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যান।’

এ দিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে পৌনে তিন ঘণ্টা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদ রাতে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের সঙ্গে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটব্যাপী এক বৈঠক শেষে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে ফিরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন।

তাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনকল্পে বাংলার জনগণের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত চার দফা পূর্বশর্ত পূরণের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট কতগুলো মূলনীতি মেনে নেন। আমরা তা কার্যকর করার বিষয়ে পরিকল্পনা পেশ করেছি। এ ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করেছি। এবার এই রাজনৈতিক সংকটের সমাধান চাইলে প্রেসিডেন্টকে সুস্পষ্টভাবে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করতে হবে।’
এক বিবৃতিতে তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য স্থানে সামরিক বাহিনীর কার্যকলাপের যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।’

এ দিন স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জাগ্রত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানানো হয়। ছাত্রনেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মঙ্গলবার সারা বাংলাদেশের আনাচকানাচে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উত্তোলন করা হয়, ঠিক সে মুহূর্তে ওই দিন এবং আজ ঢাকা শহরের কোনো এক এলাকায় একশ্রেণির লোক যেসব বাঙালি স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে, সেসব বাঙালির বাড়ি আক্রমণ করে, পতাকা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং বোমা নিক্ষেপ করা হয় বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। শুধু তা-ই নয়, গত মঙ্গলবার প্রতিরোধ দিবসে ঢাকার ফার্মগেট ও এয়ারপোর্টে নিরীহ জনগণকে মারধর ও নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের ঢাকা অবস্থানকালে সেনাবাহিনীর নির্যাতনমূলক কার্যকলাপের সমালোচনা করে বলা হয়, এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে বাংলার জনগণ তথা মুক্তিকামী মানুষ তার সমুচিত জবাব দেবে।’

গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন