নোভাক জোকোভিচকে ‘জোকার’ ডাকেন কেউ কেউ। কারণটা আর কিছু নয়, কারণে-অকারণে একটা কিছু করে তিনি মানুষ হাসাতে পারেন। সার্বিয়ান তারকার প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকে অনুকরণ কিংবা তাদের চিরচেনা অঙ্গভঙ্গির নকল করার কথা কমবেশি সবারই জানা। তবে চলতি ফ্রেঞ্চ ওপেনে কেউ কেউ দেখছেন নতুন জোকোভিচকে। সার্ব জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ জোকোভিচকে। প্রথম রাউন্ডে জয়ের পর ক্যামেরায় লিখে বসেন, ‘সার্বিয়ার হৃদয় কসোভো। সহিংসতা থামাও।’
কেন লিখেছিলেন সে ব্যাখ্যা ওই দিনই দিয়েছিলেন জোকো। কিন্তু সবাই তা শুনবে কেন? কসোভোর অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে (আইওসি) ওই ঘটনার জন্য জোকোভিচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইওসির সভাপতি থমাস বাখকে লেখা চিঠিতে জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলাধুলার নীতি ও ‘অলিম্পিক চার্টার’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, নোভাক জোকোভিচ আবারও সার্বিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হয়ে অপপ্রচার করেছেন। আর এটি করতে তিনি খেলাধুলার প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন।
এটা বেছে নিয়ে যে জোকোভিচ ঠিক করেননি, সেটা বলছেন ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওডেয়া-কাস্ত্রা ফ্রান্সের এক টিভি চ্যানেলকে। মানবাধিকার রক্ষা কিংবা জনগণকে সর্বজনীন মূল্যবোধে একত্র করার ক্ষেত্রে খেলাধুলার প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিতে পারেন ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু জোকোভিচের বার্তাটা ছিল রাজনৈতিক। তাই ওডেয়া-কাস্ত্রার ভাষায়, ‘এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।’
কিন্তু জোকোভিচ মানলে তো! সার্বিয়ান তারকা তো কসোভো ইস্যুতে তাঁর অবস্থান স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, ‘জানি না, এতে আমাকে শাস্তি দেওয়া হবে কি না...তবে আমি পিছিয়ে যাচ্ছি না, আমি আবার এটা করব।’