Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বাল্যবিবাহ ঠেকানো শ্রাবন্তীর সাফল্য এখন উদাহরণ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বাল্যবিবাহ ঠেকানো শ্রাবন্তীর সাফল্য এখন উদাহরণ

পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। দারিদ্র্যের কশাঘাতে বিবাদের জেরে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছিল আগেই। তাই দশম শ্রেণিতে উঠতেই মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন মা-খালারা। কিন্তু বিয়েতে রাজি হয়নি সে। নিজের বাল্যবিবাহ রুখতে সে থানায় গিয়ে হাজির হয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রাবন্তী সুলতানা বর্ষা জিপিএ-৫ পেয়েছে। ভবিষ্যতে সে বিসিএস ক্যাডার হতে চায়।

জানা গেছে, বছরখানেক আগে পরিবার থেকে চাপ দেওয়ায় নিজের বাল্যবিবাহ রুখতে থানায় হাজির হয় শ্রাবন্তী সুলতানা বর্ষা। পুলিশ গিয়ে তার বাবা-মাকে বোঝানোর পর বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তাঁরা। সে সময় জেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রাবন্তীকে সাহসী কন্যা আখ্যা দিয়ে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন থেকে মাসে ১ হাজার টাকা করে শিক্ষাসহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলে যাতায়াতের খরচের বিষয়ে সহযোগিতা করেন তৎকালীন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সেই কিশোরী। শ্রাবন্তীসহ ওই বিদ্যালয় থেকে এবার ১৯ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে।

শ্রাবন্তীর মা বিউটি খাতুন বলেন, ‘আমি একটি মুড়ির কারখানায় কাজ করি। মেয়েকে নিয়ে সদর উপজেলার দৌলতদিয়ার গ্রামের বাবার বাড়িতে থাকি। আমার স্বামী ও ছেলে থাকে যশোরে।

অভাবের সংসারে তাকে লেখাপড়া করানোর সাধ্য ছিল না। তাই গত বছর তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমার মেয়ে পড়তে চেয়েছিল। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় সে থানায় গিয়ে হাজির হয়। তারপর পুলিশ এসে আমাদের বোঝালে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি।’

বিউটি খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে খুব মেধাবী। আমি তার ফলাফলে খুব সন্তুষ্ট। যত কষ্টই হোক না কেন, মেয়েকে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলব।’ ৎ

ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামসুন্নাহার শিলা বলেন, ‘শ্রাবন্তী শুধু নিজের জন্য নয়, আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্যও গৌরব বয়ে এনেছে। শ্রাবন্তীর এই সাফল্য ও বাল্যবিবাহ রোধ করার সাহসী মনোবল একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

শ্রাবন্তী সুলতানা বর্ষা বলে, ‘আমি নিজের বাল্যবিবাহ রুখে দাঁড়ালেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে অনেক মেয়ে সেটা পারছে না। পরিবারের চাপে বাল্যবিবাহ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অকালে ঝরে পড়ছে অনেকে। আমি সমাজে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই।’

শ্রাবন্তী সুলতানা আরও বলে, ‘আমি শিক্ষক আর পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতায় আমি ভালো ফল করতে পেরেছি। আমি ভবিষ্যতে বিসিএস ক্যাডার হতে চাই। দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ