নরসিংদীর মনোহরদীতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে এখানে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না। এ ছাড়া সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ গালমন্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লেবুতলা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে উঠেছে এ অভিযোগ। ওই কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন লেবুতলা ইউনিয়নের প্রায় ১০০ ভুক্তভোগী।
লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামজারির জমাভাগের নামে কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কৌশলে সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে কাচিকাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালনের সময় অবৈধ কার্যকলাপের জন্য এলাকার লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবুতলা গ্রামের দুজন ভুক্তভোগী জানান, টাকা না দিলে এই অফিসের পিয়নও ফাইল হাতে নেন না। টাকা দিলে কাগজ ঠিক থাকে, না দিলে কাগজে ভুলভ্রান্তি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু বলেন, ‘তাঁদের অবৈধ আবদার আমি মেটাই না, এ জন্য তাঁদের মনে অনেক কষ্ট। তাই আমার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট বসানো হয়, এ জন্য তাঁরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ। ২২ বছর ধরে চাকরি করছি, শেষ বয়সে এসে তাঁদের কাছ থেকে আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা খুবই বিব্রতকর ও দুঃখজনক।’