দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের বাসিন্দা মহসীন আলী (৬০)। শখের বসে ঘোড়া পালন শুরু করেন তিনি। এক সময় তাঁর মাথায় চিন্তা আসে ঘোড়াকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেই থেকেই ঘোড়া দিয়ে শুরু করেন অন্যের জমি চাষ ও মই দেওয়া। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে তাঁর।
কথা হলে মহসীন আলী জানান, পিতার ঘোড়া পালন দেখে ছোটবেলা থেকেই এ বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন তিনি। প্রায় ৩০ বছর আগে দুটি ঘোড়া কেনেন। বর্তমানে পাঁচটি ঘোড়া রয়েছে। বিভিন্ন মেলায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ কয়েকবার পুরস্কার জিতেছেন বলে জানান তিনি।
মহসীন জানান, কাক ডাকা ভোর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জমি চাষ ও মই দিয়ে দেন তিনি। দিনে প্রায় ৫০ শতক জমি চাষ করা যায়। প্রতি বিঘায় নেন ৬০০ টাকা। ঘোড়া পালন করে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার। ঘোড়াকে খাওয়াতে দৈনিক খরচ হয় ৭৫০ টাকা। এ পর্যন্ত চারটি বাচ্চা ঘোড়া বিক্রি করেছেন।
প্রতিবেশী মো. বাবুল মিয়া বলেন, ‘আমরা আগে কখনো ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ বা মই দেওয়া যায় তা জানতাম না। তবে মহসীন ভাই অনেক দিন থেকেই গ্রামে গ্রামে জমি চাষ ও মই দেওয়ার কাজ করছেন।’
বালুপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমার ধারণাই ছিল না যে কৃষিকাজে কৃষি যন্ত্রের বদলে পালিত ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই দেওয়া যায়। এটা আমার কাছে একটি ভিন্ন ধরনের বিষয় মনে হচ্ছে। জমি চাষের জন্য মহসীন চাচার কাছে অগ্রিম বুকিং দিতে এসেছি।’
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি মহসীন আলী শৌখিন মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ঘোড়া দিয়ে জমিতে হাল চাষ ও মই দিয়ে বাড়তি আয় করছেন তিনি।’