ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ১৯ বছর পর গত ২৯ জুন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয় ৫ জুলাই। কিন্তু আগামীকালও সম্মেলন হচ্ছে না। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সম্মেলনের তারিখ আবারও পেছানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
জানা গেছে, সম্মেলন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল উপজেলায়। পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের টানানো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে যায় উপজেলার প্রধান সড়কগুলো। শুধু তা-ই নয়, সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার স্থান ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণেও প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় আনন্দে ভাটা পড়েছে উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়েও।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১১ জুলাই ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৬ সালে ফের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
এরপর দীর্ঘ ১৬ বছরের অপেক্ষা শেষে গত ২৯ জুন সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরে সেই তা পিছিয়ে নেওয়া হয় ৫ জুলাই। কিন্তু গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, ৫ জুলাই সম্মেলন হচ্ছে না। ঈদুল আজহার পর যেকোনো দিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, শেষ মুহূর্তের এমন সিদ্ধান্তে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে নারাজ। পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা বলেন, আদৌ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় উপজেলাসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কিছুটা হতাশ হয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ঈদুল আজহার পর যেকোনো দিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’