হোম > ছাপা সংস্করণ

৭৪% জমিতে আমন আবাদ

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমন চাষে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। যদিও মৌসুমের শুরু থেকে খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে আমন চাষে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমন আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৭৪ ভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৩ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী রয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ২১৫ হেক্টর, স্থানীয় ৮৩ হাজার ৬৩৮ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৭০ হেক্টর। মৌসুমের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে রোপা আমন আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬ হেক্টর। অর্থাৎ ৭৪ দশমিক ১ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৩৭ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কৃষকসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, মির্জাগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ ভাগ, বাউফলে ৮৪ দশমিক ৯ ভাগ, গলাচিপায় ৯৭ দশমিক ৯ ভাগ, কলাপাড়ায় ৯৫ দশমিক ৮ ভাগ, দশমিনায় ৮৯ দশমিক ৯ ভাগ, দুমকিতে 
৫৫ দশমিক ৮ ভাগ, রাঙ্গাবালীতে ৭৩ দশমিক ৯ ভাগ ও সদর উপজেলায় ৪৭ দশমিক ৪ ভাগ রোপা আমন আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ মাস থেকে আমন আবাদের মৌসুম শুরু হয় এবং ভাদ্র-আশ্বিন পর্যন্ত চলে। কিন্তু শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহে এবং ভাদ্রের প্রথম দিকে রোপা আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে আসে। দেরি হলেও মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমন আবাদে কৃষকের ব্যস্ততা।

সদর উপজেলার বাহেরচরের কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় মূল সময়ে রোপা আমন চাষ শুরু এবং বীজতলাও তৈরি করতে পারিনি পানির অভাবে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন চাষ শুরু করি। বিলম্বে হলেও আশা করি রোপা আমন চাষ পুরোটাই করতে পারব, ইনশা আল্লাহ।’

রাঙ্গাবালীর উপজেলার কোড়ালিয়া এলাকার কৃষক সেলিম ফকির বলেন, ‘আবহাওয়ার যে-ই অবস্থা ছিল এবং বৃষ্টিপাত না হওনে মোরা তো ধইরাই নিছিলাম এই বছর রোপা আমন চাষ করতে পারমু না। আল্লাহ আমাগো মুখের দিকে তাকাইছেন, মোরা ভালায় ভালায় রোপা আমন চাষবাস করতে পারছি এবং বাকি কয়দিনের মধ্যেই সব চাষ কইর‍্যা হালাইতে পারমু।’

কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের কৃষক সোবাহন মৃধা বলেন, ‘সময় মতো বৃষ্টি হলে এত দিনে রোপা আমন চাষ হয়ে যেতো। সবে বৃষ্টিপাত হইছে, এই তো ১৮ / ২০ দিন হয় রোপা আমন চাষ শুরু করেছি। আশা করি ভাদ্র মাসের মধ্যেই আবাদ শেষ করতে পারমু।’

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে আমন আবাদ বিলম্বে শুরু হলেও এখন শেষ মুহূর্তে পুরোদমে আবাদ শুরু হয়েছে। কৃষকেরা দিন-রাত চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সামনের দিকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।’ 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন