কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মাজহারুল ইসলাম সনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু মুমুর্ষূ রোগীদের রক্তদান করা তাঁর নেশা। ২০০৮ সাল থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ৩৪ বার রক্তদান করেছেন। তিনি পৌর সদরের চরপাকুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তাঁকে দেখে রক্তদানে উৎসাহিত হচ্ছেন স্থানীয় তরুণ প্রজন্ম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাজহারুল ইসলাম সনি এলাকায় বিভিন্ন মানবিক কাজে এগিয়ে আসেন। রক্তদান সমিতি ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তিনি। মানুষের উপকারের জন্য তিনি চেষ্টা করেন। বিশেষ করে রক্তদানের ব্যাপারে তিনি খুবই সোচ্চার। মুমূর্ষু যেকোনো রোগীর জন্য রক্তদানে সব সময় প্রস্তুত থাকেন তিনি।
ইমরান নামের স্থানীয় একজন বলেন, ‘সনি ভাই একজন মহৎ মানুষ। কারও বিপদে-আপদে সব সময় এগিয়ে আসেন। একজন ভালো মানুষ হিসেবে আমরা তাঁকে চিনি-জানি। তিনি অনেক মানুষকে রক্তদান করেছেন। তাঁকে দেখে তরুণ যুবকেরা রক্তদানে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।’
জানতে চাইলে মাজহারুল ইসলাম সনি বলেন, ‘রক্তদান একটি ভালো কাজ। একজন মানুষ যখন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে থাকেন, সে সময় তাঁর চেয়ে বেশি অসহায় আর কেউ বোধ করেন না। ওই সময়টাই তাঁকে রক্তদান করা হলে তিনি শঙ্কামুক্ত হন। এক দিন জাতীয় পত্রিকায় এক ব্যক্তির ৯০ বার রক্তদানের খবর পড়ি। এটি আমাকে আরও বেশি ভাবায়। চিন্তা করি আমিও রক্ত দেব। বিপদে মানুষের পাশে থাকব। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় আমার রক্ত দেওয়া। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৪ বারের মতো রক্ত দিয়েছি। এভাবে মুমূর্ষু রোগীদের রক্ত দিয়ে যেতে চাই।’
পথ পাথেয় সামাজিক কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা মোস্তাকিম বাপ্পী বলেন, ‘আমাদের সংগঠনটি সামাজিক বিভিন্ন কাজে অবদান রেখে চলেছে। মুমূর্ষু রোগীদের রক্তদান, অসহায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষদের পাশে থাকছে। সনি আমাদের সংগঠনের একজন সদস্য। তাঁর রক্তদান দেখে অনেকেই রক্তদানে উৎসাহিত হচ্ছেন।’